বেঙ্গালুরু-বারাণসী ফ্লাইট IX-1086-এর এক যাত্রী ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করেন। পাইলট নিরাপত্তার কারণে দরজা খোলেননি। মোট ৯ জন যাত্রীকে সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় কেউ আহত হননি।
Air India: বেঙ্গালুরু থেকে বারাণসীগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট IX-1086-এ রবিবার সকালে এক যাত্রী ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করেন, যার ফলে বিমানে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি উড়ান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে। যাত্রী ককপিটের দরজা খোলার জন্য সঠিক পাসকোড দেন, কিন্তু হাইজ্যাকের ভয়ে ক্যাপ্টেন দরজা খোলেননি। এই সময় বিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সক্রিয় ছিল এবং কোনো রকম ত্রুটি হয়নি।
অভিযুক্ত যাত্রী ও সঙ্গীদের তথ্য
এই ব্যক্তির সাথে মোট ৮ জন অন্য যাত্রী ভ্রমণ করছিলেন, যাদের সহ মোট ৯ জন যাত্রীকে সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি যে যাত্রী কেন ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। বিমান বারাণসী পৌঁছানোর পর সমস্ত অভিযুক্ত যাত্রীকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পাইলটের বিচক্ষণতায় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল
এয়ার ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন পরিস্থিতি বিচক্ষণতার সাথে সামাল দেন। যাত্রী পাসকোড দিতেই এবং ককপিট খোলার চেষ্টা করতেই, পাইলট তাৎক্ষণিক সংকেত পান। পাইলট সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে পরিস্থিতি দেখেন এবং হাইজ্যাকের আশঙ্কায় দরজা খোলেননি। পাইলটের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার কারণে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং সমস্ত যাত্রীর নিরাপত্তা বজায় ছিল।
এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে এই ঘটনায় কোনো নিরাপত্তা ত্রুটি হয়নি। এয়ারলাইন আরও জানায় যে যাত্রী শৌচাগার খুঁজতে খুঁজতে ককপিটের প্রবেশপথের দিকে চলে গিয়েছিলেন। এয়ারলাইন স্পষ্ট করে যে, বিমানে নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা রয়েছে এবং অবতরণের সময় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে।
যাত্রীর বক্তব্য
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে যাত্রী ককপিটের দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি প্রথমবার বিমানে ভ্রমণ করছিলেন। যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন তিনি বলেন যে তিনি শৌচাগার ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন এটিই সেই দরজা। তবে, ক্রু সদস্যরা তাকে বোঝান যে তিনি ককপিটের দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন, তখন তিনি চুপচাপ ফিরে যান। এই ঘটনাটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং ককপিটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণকারী পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
নিরাপত্তা প্রোটোকল
ককপিট সুরক্ষা ব্যবস্থার (Cockpit Security) অধীনে দরজাটিকে অত্যন্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে। পাসকোড সঠিক হলেও ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্ত অপরিহার্য। এই ঘটনায় এই প্রোটোকল কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। পাইলটের দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সিসিটিভি নজরদারি বিমান ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বিমান নিরাপত্তার নিয়মাবলী
বিমান নিরাপত্তা নিয়ম অনুযায়ী, পাইলটের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে ককপিটে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে নিয়মাবলী অনুসরণ করা হলে জরুরি পরিস্থিতিতেও বিমান সুরক্ষিত থাকে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে সমস্ত নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত যাত্রীদের আইন অনুযায়ী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।