উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণগুলি হল ভুল খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ওজন বৃদ্ধি, ধূমপান এবং মদ্যপান। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে লবণ এবং জাঙ্ক ফুড কমিয়ে দিন, সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল এবং বাদাম আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং প্রতিদিন 30 মিনিট ব্যায়াম, যোগা ও প্রাণায়াম করুন।
উচ্চ রক্তচাপ: দিল্লির রাজীব গান্ধী সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. অজিত জৈন-এর মতে, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলি হলো ভুল খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের অভাব, ধূমপান এবং মদ্যপান। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে লবণ কমিয়ে দিন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভাজা-পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল এবং বাদাম আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন 30 মিনিটের হালকা শারীরিক কার্যকলাপ, যোগা এবং প্রাণায়ামের মাধ্যমে রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখা যেতে পারে।
রক্তচাপ কী এবং কতটা বৃদ্ধি বিপজ্জনক?
সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তচাপ 120/80 mmHg হয়। যখন এটি 130/80 mmHg বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন এটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে ধরা হয়। এটিকে উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে কারণ দীর্ঘক্ষণ উচ্চ রক্তচাপ শরীরের অঙ্গগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রধান কারণসমূহ
দিল্লির রাজীব গান্ধী সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. অজিত জৈন জানান যে, উচ্চ রক্তচাপের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো ভুল খাদ্যাভ্যাস। বেশি লবণযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া এবং চর্বিযুক্ত খাবার রক্তচাপ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, অতিরিক্ত চা, কফি এবং জাঙ্ক ফুড সেবনও রক্তনালীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দ্বিতীয় বড় কারণ হলো মানসিক চাপ এবং জীবনযাপন। ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, ওজন বৃদ্ধি, ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাসও উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ। এই অভ্যাসগুলির কারণে হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলির উপর ক্রমাগত চাপ বাড়ে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী খাদ্যাভ্যাস
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। সবার প্রথমে খাবারে লবণের পরিমাণ কমান এবং রান্না করার পর বাড়তি লবণ ছিটিয়ে দেবেন না। প্রক্রিয়াজাত খাবারের সেবন সীমিত করুন এবং তাজা, সবুজ শাকসবজি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ফল, ডাল এবং বাদাম রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওটস, চিনাবাদাম, আখরোট এবং বাদামের মতো জিনিসগুলি হৃদয়কে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতেও সহায়ক।
জল এবং হাইড্রেশন
শরীরে জলের অভাবও রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই প্রতিদিন 7 থেকে 8 গ্লাস জল পান করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। চা এবং কফির পরিমাণ সীমিত রাখুন যাতে শরীর আর্দ্র থাকে।
শারীরিক কার্যকলাপ এবং যোগা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শারীরিক কার্যকলাপও জরুরি। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট হাঁটা, হালকা ব্যায়াম করা এবং যোগাসন করা উপকারী। বিশেষ করে সুখানসন, প্রাণায়াম এবং ভ्रामরী প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমায় এবং হৃদয়কে সুস্থ রাখে।
মানসিক চাপের প্রভাব
মানসিক চাপ সরাসরি রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ে এবং রক্তনালীর উপর চাপ পড়ে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।