হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে মুখ্যমন্ত্রী সুুখু ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্থকে বাড়ি এবং ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ত্রাণ কার্যে গতি আনতে ভারী মেশিন বসানো হয়েছে।
হিমাচল: মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু মান্ডি জেলার সরাজ অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন বাড়ি দেওয়া হবে এবং সরকার ৭-৭ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করবে।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন আশ্রয়স্থল
সরাজ অঞ্চলের পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বা এখন বসবাসের অযোগ্য। এমন সব পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকার করবে। তিনি আরও বলেন, হিমাচলে ঘর তৈরি করা সহজ নয় এবং তিনি এই কষ্টের গভীরতা অনুভব করেন। এই সংকটকালে সরকার প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে।
প্রয়োজনে সরকার ভূমি দেবে
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যদি কারও জমি না থাকে, তবে সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী ভূমি সরবরাহ করবে। যদিও তিনি আরও যোগ করেন যে বনভূমিতে পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তিনি সকল বিজেপি সাংসদদের প্রতি আবেদন করেন, যাতে তাঁরা কেন্দ্র সরকারকে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত অনুমোদন করতে সাহায্য করেন।
ত্রাণ শিবিরে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা
মুখ্যমন্ত্রী সুখু বাগসিয়াড় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের সমস্যা শোনেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এবং শিশুদের সঙ্গে খাবারও খান। এই সময় তিনি ত্রাণ শিবিরে চলমান ব্যবস্থাপনার পর্যালোচনা করেন এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
ত্রাণ কাজে নিয়োজিত ৫০টি জেসিবি মেশিন
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরাজ অঞ্চলে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। এলাকার রাস্তাগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য ৫০টি জেসিবি এবং অন্যান্য ভারী মেশিন মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও স্বীকার করেন যে, যতক্ষণ না রাস্তাগুলি সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে সামলাচ্ছে।
দোকান ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতিও পূরণ করা হবে
মুখ্যমন্ত্রী সুখু আরও আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাদের দোকান, গোয়ালঘর এবং গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে, তাদেরও সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার প্রতিটি দিক বিবেচনা করে কাজ করছে, যাতে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজেকে একা অনুভব না করেন।
রেনগালুতে হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি নিজে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রেনগালু পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয়।
উপমুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন
উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী এবং লোক নির্মাণ মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংও দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁরাও জনগণকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের ভয়াবহ দুর্যোগের সময়েও রাজ্য সরকার তার নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে পুনর্বাসনের কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।