হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার বারসার অঞ্চলে মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই দুটি গ্রামের মধ্যে একটি দলিত ব্যক্তির শেষকৃত্য করা নিয়ে মতবিরোধের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নানাওয়াঁ গ্রামের শ্মশান ভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় মৃতের পরিবার পার্শ্ববর্তী ভেওড় সাহেলী গ্রামের শ্মশানে শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নেয়।
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার বারসার অঞ্চলে মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই দুটি গ্রামের মধ্যে একটি দলিত ব্যক্তির শেষকৃত্য করা নিয়ে মতবিরোধের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নানাওয়াঁ গ্রামের শ্মশান ভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় মৃতের পরিবার পার্শ্ববর্তী ভেওড় সাহেলী গ্রামের শ্মশানে শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শ্মশান ব্যবহার নিয়ে আপত্তিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি
ভেওড় সাহেলী গ্রামের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এই বিষয়ে আপত্তি জানায়, যার ফলে উভয় গ্রামের মানুষের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি ধীরে ধীরে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে কর্মকর্তারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।
প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এ সময় প্রশাসন স্পষ্ট করে জানায় যে, জরুরি পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিককে শ্মশান ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া যাবে না। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।
স্থায়ী সমাধানের পথে প্রশাসন সক্রিয়
উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র গৌতম জানান, পুলিশ ও প্রশাসনের তত্পরতায় কোনো বড় ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি মিটে গেছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য প্রশাসন স্থায়ী সমাধানের দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে নানাওয়াঁ গ্রামের জন্য একটি বিকল্প শ্মশানের জন্য সরকারি জমি চিহ্নিত করতে এবং যত দ্রুত সম্ভব এর নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের সামাজিক মতানৈক্য বা সংঘর্ষের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে।
এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের সতর্কতা এবং নাগরিকদের বোধগম্যতা উভয়ই জরুরি।