মধ্যপ্রদেশে আয়ের আজব শংসাপত্র: কারো ৩ টাকা বার্ষিক আয়, কারো শূন্য!

মধ্যপ্রদেশে আয়ের আজব শংসাপত্র: কারো ৩ টাকা বার্ষিক আয়, কারো শূন্য!

মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলায় সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। জেলার কোठी এবং উচেहरा तहसील থেকে জারি করা দুটি আয়ের শংসাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই শংসাপত্রগুলিতে একজনের বার্ষিক আয় ৩ টাকা এবং অন্যজনের শূন্য টাকা দেখানো হয়েছে। এই নথিগুলি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সরকারি রেকর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কোঠী तहसील नयागांव-এর বাসিন্দা রামস্বরূপ, পিতা শ্যামলালকে যে আয়ের শংসাপত্র জারি করেছে, তাতে তার বার্ষিক আয় মাত্র ৩ টাকা দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ, মাসিক হিসেবে মাত্র ২৫ পয়সা। এই শংসাপত্রটি ২২ জুলাই, ২০২৫ তারিখে জারি করা হয়েছিল, যাতে তহসিলদার সৌরভ দ্বিবেদীর স্বাক্ষরও রয়েছে। অন্যদিকে, উচেहरा तहसील থেকে আমদরি নিবাসী সন্দীপ কুমার নামদেবকে জারি করা অন্য একটি শংসাপত্রে তার বার্ষিক আয় শূন্য টাকা বলা হয়েছে। দুটি ঘটনাই সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মশকরা করা হচ্ছে এবং মানুষ প্রশ্ন করছেন যে সরকারি ব্যবস্থা এত বড় ভুল কীভাবে করতে পারে?

‘लिपिकीय त्रुटि’ का बहाना और प्रमाण पत्र निरस्त

ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তহসিলদার সৌরভ দ্বিবেদী এই ঘটনাকে "लिपिकीय त्रुटि" (করণিক ত্রুটি) বলে অভিহিত করে রামস্বরূপের আয়ের শংসাপত্র বাতিল করেছেন এবং নতুন শংসাপত্র জারি করেছেন। তবে এর আগে খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল যে প্রশাসনিক ভুল চাপা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

জেলা কালেক্টর ডঃ সতীশ কুমার যশ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে তহসিলদার এবং লোক সেবা কেন্দ্রের পরিচালককে তিরস্কার করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি কালেক্টর স্পষ্ট করেছেন যে ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

पीड़ित ने किया आवेदन से इनकार

এই ঘটনা আরও জটিল মোড় নেয় যখন ভুক্তভোগী রামস্বরূপ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় জানান যে তিনি কখনও কোনও আয়ের শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেননি। এই বিবৃতি সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। যদি ব্যক্তি আবেদনই না করে থাকেন, তবে শংসাপত্র কীভাবে এবং কোন ভিত্তিতে জারি করা হল?

এই প্রশ্ন পুরো প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনেকের ধারণা এটি শুধু করণিক ভুল নয়, বরং সিস্টেমে ছড়িয়ে থাকা অব্যবস্থা ও গাফিলতির ফল। আবার কেউ কেউ এটিকে একটি পরিকল্পিত ভুল বলে মনে করছেন, যা সরকারের নামে মিথ্যা নথি তৈরি করে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

सोशल मीडिया पर गूंजा मामला

এই শংসাপত্রগুলির প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষও প্রশাসনকে घेरना (ঘেরাও) করতে শুরু করে। মিম, মন্তব্য এবং ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের মাধ্যমে সরকারি কাজকর্মের প্রচুর মশকরা করা হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল যে গ্রামীণ মানুষদের প্রায়শই কম শিক্ষিত মনে করা হয়, তারাই এই ভুলটি ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এখন প্রশাসন এই দুটি ঘটনার তদন্তের কথা বলছে, কিন্তু প্রশ্ন হল, যতক্ষণ না অভিযোগ করা হয়, ততক্ষণ কি এ ধরনের ঘটনার ওপর কোনো নজর রাখা হয় না? बिना क्रॉस चेक के दस्तावेजों को प्रमाणित करना सिस्टम की आदत बन चुकी है? (ক্রসচেক ছাড়াই নথি প্রমাণ করা কি সিস্টেমের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে?)

कागजी खानापूर्ति पर टिकी है सरकारी व्यवस्था?

এই ঘটনা শুধু একটি শংসাপত্রের ভুল নয়, বরং এটি दर्शाता যে অনেক সময় সরকারি নথি শুধু कागजी खानापूर्ति (কাগজের কাজ) হয়ে থেকে যায়। আয়ের শংসাপত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা বৃত্তি, সরকারি প্রকল্প এবং আর্থিক সহায়তা পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যদি যাচাই-বাছাই ছাড়াই জারি করা হয়, তবে তা কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রভাবিত করে।

এখন দেখার বিষয়, জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কতটা স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল রোধ করার জন্য কী ठोस कदम (কঠিন পদক্ষেপ) নেওয়া হয়।

Leave a comment