ভারতে 5G পরিষেবা ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সক্রিয় রয়েছে এবং এখন তা বড় শহর ও শহরতলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এই প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে সীমিত ট্রায়াল চলছে এবং পাকিস্তানে 5G এখনও শুরুই হয়নি।
5g network: ভারতে 5G পরিষেবা ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন এটি প্রায় সমস্ত বড় শহর, শহরতলি এবং ধীরে ধীরে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশ ২০২১ সালে সীমিত 5G ট্রায়াল শুরু করেছিল, কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি এখনও ব্যাপকভাবে উপলব্ধ নয়। পাকিস্তানে 5G এখনও শুরু হয়নি এবং এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা এই প্রযুক্তির প্রসারে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে 5G-এর অবস্থা
বাংলাদেশে 5G নেটওয়ার্কের সূচনা হয়েছিল ২০২১ সালের শেষদিকে। সরকারি টেলিকম কোম্পানি Teletalk ঢাকা এবং কিছু বড় শহরে 5G ট্রায়াল শুরু করেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই পরিষেবা কেবল নির্দিষ্ট কিছু স্থান এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে, এখনও পর্যন্ত 5G সাধারণ মানুষের কাছে পুরোপুরি পৌঁছায়নি। ব্যয়বহুল প্রযুক্তি, 5G টাওয়ারের অভাব এবং উচ্চ-গতির ইন্টারনেটের চাহিদা মেটাতে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা একে পিছিয়ে রাখছে। সরকার আগামী সময়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির সাথে মিলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তানে 5G-এর অবস্থা
পাকিস্তানে 5G নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে। এখানে 5G এখনও চালু হয়নি এবং ট্রায়াল কেবল টেস্টিং পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেক অঞ্চলে 4G নেটওয়ার্কও স্থিতিশীল নয়, যা 5G বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং টেলিকম সেক্টরে বড় বিনিয়োগের অভাবও 5G সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করছে। সরকার আগামী বছরগুলিতে 5G পরিষেবা চালু করার ঘোষণা করেছে, তবে আপাতত কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
ভারতের তুলনায় প্রতিবেশী দেশগুলি পিছিয়ে
ভারতে 5G প্রায় সমস্ত বড় শহর, শহরতলি এবং ধীরে ধীরে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিপরীতে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে 5G কেবল সীমিত টেস্টিং এবং ট্রায়াল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ ট্রায়াল শুরু করেছে কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি এখনও ব্যাপকভাবে উপলব্ধ নয়, যেখানে পাকিস্তানে 5G নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ শুরুই হয়নি।