ভারতের হাতে নতুন প্রলয় মিসাইল চিন–পাকিস্তান কাঁপছে আধুনিক অস্ত্রের খবরে

ভারতের হাতে নতুন প্রলয় মিসাইল চিন–পাকিস্তান কাঁপছে আধুনিক অস্ত্রের খবরে

যুদ্ধের চিত্র পাল্টাচ্ছে, বদলাচ্ছে কৌশল

আজকের বিশ্বে যুদ্ধের ধরন আগের মতো নেই। একসময় যেখানে সৈন্যরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করত, এখন সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর যুদ্ধ। ইউক্রেন–রাশিয়া সংঘর্ষ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের লড়াই—সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে মিসাইল। আকাশচুম্বী গতি আর বিধ্বংসী শক্তি দিয়ে মিসাইল এখন নির্ধারণ করছে যুদ্ধের জয়-পরাজয়।

বিশ্বজুড়ে মিসাইল যুদ্ধের বাস্তবতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক কূটনীতি যতই জোরালো হোক, প্রতিটি দেশের ভরসা শেষ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা শক্তির উপরেই। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে শুরু করে আমেরিকা, চীন থেকে ইরান—সব দেশই নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সামনের সারির সৈন্যদের বদলে দূরপাল্লার মিসাইলই হয়ে উঠছে আসল ‘গেমচেঞ্জার’। ভারতও সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, বরং নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।

চিন–পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ‘প্রলয়’

ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক অস্বস্তি পাকিস্তানকে ঘিরে। সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলির বিরুদ্ধে ভারত যখন বড় পদক্ষেপ নেয়, তখন ভ্যাবাচ্যাকা খায় পাকিস্তান। অন্যদিকে, সীমান্তে বারবার প্ররোচনা দিয়ে ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে চীনও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই প্রতিবেশীই নিজেদের আর্মি রকেট ফোর্স শক্তিশালী করছে। তারই জবাবে ভারতীয় সেনা হাতে তুলে নিয়েছে এক নতুন অস্ত্র—‘প্রলয়’ মিসাইল। এর খবরে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশই চিন্তিত।

২০১৫ সালে শুরু, আজ বাস্তবের রণশক্তি

২০১৫ সালে ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পে হাত দিয়েছিল ডিআরডিও। কেন্দ্রীয় সরকার সেই সময় প্রায় ৩৩২.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। ধাপে ধাপে গবেষণা, পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের পর অবশেষে এটি আজ ভারতীয় সেনার হাতে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সামরিক ইতিহাসে ‘প্রলয়’-এর অন্তর্ভুক্তি এক মাইলফলক।

বিধ্বংসী ক্ষমতায় বিশ্বের সেরা তালিকায়

‘প্রলয়’-এর প্রধান শক্তি এর গতি ও দূরপাল্লার আঘাতে। ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রু ঘাঁটি নিমিষে ধ্বংস করতে সক্ষম এই মিসাইল। শব্দের থেকে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মিসাইল একবার ছোঁড়া হলে শত্রুপক্ষের পক্ষে তা আটকানো কার্যত অসম্ভব। ফলে সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা আরও মজবুত হলো।

ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তির নতুন যুগ

‘প্রলয়’-এর অন্তর্ভুক্তির পর ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডার এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পাকিস্তান কিংবা চীন যেই হোক, দূর থেকে সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারতের হাতে এখন বাস্তব। কৌশলবিদরা বলছেন, প্রতিরক্ষায় এই শক্তি ভারতের জন্য শুধু সুরক্ষা নয়, বরং কূটনৈতিক দুনিয়ায়ও এক বড় বার্তা। ভবিষ্যতের যুদ্ধ যদি প্রযুক্তিনির্ভর হয়, তবে ভারত সেই দৌড়ে যথেষ্ট প্রস্তুত।

Leave a comment