দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর ছুরি হামলার ঘটনায় পুলিশ দ্বিতীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত রাজেশ এর বন্ধু তাহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার থেকে জানা গেছে যে হামলাটি সম্পূর্ণরূপে একটি ষড়যন্ত্রের অধীনে পরিকল্পিত ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষিত আছেন।
নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর সম্প্রতি হওয়া হামলায় পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে। প্রথম অভিযুক্ত রাজেশকে ধরার পর, এখন পুলিশ তার সহযোগী বন্ধু তাহসিন সৈয়দকেও গ্রেপ্তার করেছে। তাহসিনকে রাজকোট থেকে দিল্লিতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের মতে, রাজেশ মুখ্যমন্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে, নিরাপত্তা সতর্কতার কারণে রাজেশ হামলা করতে পারেনি এবং শুধুমাত্র ছুরি ছুঁড়ে মারে। মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষিত আছেন এবং তার কোনো গুরুতর আঘাত লাগেনি।
সিএম রেখা গুপ্তার উপর হামলার ষড়যন্ত্রের প্রকাশ
তদন্তে জানা গেছে যে রাজেশ প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, কিন্তু সেখানে কঠোর নিরাপত্তা দেখে ফিরে আসে। এরপর সে শালিমার বাগে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছায়।
সূত্রের খবর, রাজেশ এবং তাহসিন দুজনেই কুকুরপ্রেমী এবং পুরো পরিকল্পনা চলাকালীন তারা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছিল। তাহসিন রাজেশকে সাহায্য করার জন্য টাকাও পাঠিয়েছিল। রাজেশ বলেছিল যে रास्ते में कोई भी आए तो उसे नहीं छोड़ेगा। পুলিশ বর্তমানে ছুরিটি খুঁজছে এবং সিভিল লাইন্স এলাকায় চিহ্নিতকরণ করাচ্ছে।
হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন
হামলার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন দিল্লি পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এই পরিবর্তনের অধীনে এখন সিআরপিএফকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মতে, ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানো হবে।
গণশুনানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বক্তব্য
হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যে জীবনে চ্যালেঞ্জ আসতেই থাকে, কিন্তু দিল্লিবাসীর স্বার্থে তার সংগ্রাম কখনও থামবে না।
তিনি ঘোষণা করেছেন যে এখন থেকে গণশুনানি শুধুমাত্র তার বাসভবনে নয়, দিল্লির প্রতিটি বিধানসভায় অনুষ্ঠিত হবে। এই পদক্ষেপ জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং মানুষের সমস্যা দ্রুত শোনার জন্য নেওয়া হয়েছে।