সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর বার্তা: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর বার্তা: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

রক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে আমেরিকাকে জানিয়েছেন যে, ভারতের আক্রমণের আশঙ্কায় প্রথম পদক্ষেপ করার অধিকার আছে। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে উল্লেখ করে অপারেশন সিঁদুরের কথা বলেন তিনি।

রাজনাথ সিং: ভারত সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছে যে সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে দেশটি আর কোনো নমনীয়তা দেখাবে না। ভারতের নীতি এখন হল, যদি দেশের উপর আক্রমণ হয় বা আক্রমণের আশঙ্কা থাকে, তাহলে ভারত প্রথমে আঘাত হানার অধিকার রাখে। এই বার্তা শুধু পাকিস্তানকেই নয়, আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে দেওয়া হয়েছে।

রক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধানের কথা

রক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান পিট হেগসেথের সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিটের একটি আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় তিনি ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং স্পষ্ট করেন যে, ভারত তার সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রথম আঘাত হানার অধিকার সংরক্ষণ করে। রাজনাথ সিং-এর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা পুনরায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল

রাজনাথ সিং আলোচনায় বলেন যে, পাকিস্তান সীমান্ত পার সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই দেশটি সেই সমস্ত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে, যাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, ভারত এই ধরনের বিপদ মোকাবিলার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং এই লক্ষ্যে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউসে পাক সেনা প্রধানের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান

সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানি সেনা প্রধান আসিম মুনীরকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এর পরেই ভারতের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে serious নয়। রাজনাথ সিং-এর এই বক্তব্য সেই কৌশলের অংশ, যার অধীনে ভারত তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

অপারেশন সিঁদুর

অপারেশন সিঁদুর কার্যকর করা হয়েছিল। এই অভিযানের অধীনে ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছিল মাপা, কৌশলগত এবং শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে। অপারেশনটি প্রায় ১০০ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এবং এতে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে বেসামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, যেখানে পাকিস্তান বেসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করার চেষ্টা করেছিল।

Leave a comment