ইন্দোরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রদের গুরুতর অভিযোগ: ইংরেজিতে কথা বলতে বাধ্য করা এবং টয়লেট পরিষ্কার করানো!

ইন্দোরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রদের গুরুতর অভিযোগ: ইংরেজিতে কথা বলতে বাধ্য করা এবং টয়লেট পরিষ্কার করানো!

ইন্দোরের একটি সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬৫ জন ছাত্র শুক্রবার ১৫ কিলোমিটার হেঁটে কালেক্টরেটে পৌঁছয় এবং বিদ্যালয়ের মহিলা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ছাত্রদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিকিতা মেহরা তাদের শুধুমাত্র ইংরেজিতে তাদের সমস্যাগুলো বলতে বাধ্য করেন, যেখানে অধিকাংশ ছাত্রই আদিবাসী এবং গ্রামীণ পটভূমি থেকে আগত এবং তাদের ইংরেজি বলতে অসুবিধা হয়।

এছাড়াও, ছাত্রদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাদের বিদ্যালয় চত্বরে ঘাস তোলা এবং টয়লেট পরিষ্কার করার মতো কাজ করতেও বলেন। ছাত্ররা অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে এবং প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।

যদি ইংরেজি না জানো, তাহলে আমার অফিসে এসো না

একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় (EMRS), ইন্দোরের ছাত্ররা যখন শুক্রবার কালেক্টরেটে পৌঁছায়, তখন তাদের হাতে অভিযোগ ছিল এবং চোখে ছিল ক্ষোভ। ছাত্রদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ তাদের বলেন, যদি তোমরা ইংরেজি না জানো, তাহলে নিজের সমস্যা নিয়ে আমার চেম্বারে আসবে না। এক ছাত্র জানায়, আমরা আদিবাসী, গ্রাম থেকে এসেছি। আমাদের ইংরেজি বলতে আসে না, তাই আমরা নিজেদের কথা ঠিকভাবে বলতেও পারি না।

ছাত্ররা জানিয়েছে যে এই ধরনের ভাষা নীতি তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করে এবং তাদের পড়াশোনাতেও বাধা সৃষ্টি করে।

ঘাস তোলো, টয়লেট পরিষ্কার করো

ছাত্রদের অভিযোগ অনুসারে, অধ্যক্ষের নির্দেশে তাদের স্কুল চত্বরে ঘাস তোলা এবং শৌচাগার পরিষ্কার করতেও বলা হয়। তারা এটিকে "অপমানজনক এবং শিক্ষামূলক পরিবেশের পরিপন্থী" বলে অভিহিত করেছে। ছাত্ররা স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা টয়লেট পরিষ্কার করতে অস্বীকার করেছে, কারণ এটি তাদের মর্যাদার পরিপন্থী।

অধ্যক্ষের অভিযোগ অস্বীকার

অন্যদিকে, অধ্যক্ষ নিকিতা মেহরা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। তিনি সাফাই দিয়ে বলেন যে, যদি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ছুটিতে থাকেন, তবে ছাত্রদের নিজেদের টয়লেট নিজেরাই পরিষ্কার করতে হতে পারে। তিনি মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, গান্ধীজিও নিজের শৌচাগার নিজে পরিষ্কার করতেন।

তিনি আরও জানান যে বিদ্যালয়ে ‘মন কি বাত’ নামক একটি অভিযোগ বাক্স রয়েছে, কিন্তু তাতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।

প্রশাসন জানিয়েছে যে তদন্ত কমিটি ছাত্রদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

Leave a comment