রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর প্রধান মোহন ভাগবত কর্তৃক দেশের বিভিন্ন মুসলিম ধর্মগুরু এবং বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে করা বৈঠকের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) গোষ্ঠী তাদের মতামত স্পষ্ট করে এই संवादকে রাষ্ট্র নির্মাণের দিকে একটি জরুরি পদক্ষেপ বলেছে।
পার্টির মুখপত্র 'সামনা'য় সোমবার প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে উদ্ধব ঠাকরে ভাগবতের এই বৈঠককে প্রশংসনীয় আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই সাক্ষাৎ শুধুমাত্র চা-পানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এতে দেশে ধর্মীয় উত্তেজনা এবং সামাজিক ঐক্যের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি এই সংলাপকে মুসলিম সমাজের বেদনা বোঝার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেছেন।
এই পদক্ষেপ কিছু লোকের পছন্দ হবে না
'সামনা'য় বিজেপির ভেতরের কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ওপর তীব্র আক্রমণ করে লেখা হয়েছে যে উত্তর প্রদেশ, আসাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির মতো রাজ্যে যারা নব-হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করছে, ভাগবতের এই পদক্ষেপ সম্ভবত তাদের ভালো লাগবে না। সম্পাদকীয়তে ব্যঙ্গ করে বলা হয়েছে যে যে নেতারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষ উগরে দেন, তারা সম্ভবত এই সংলাপে এতটাই আহত হবেন যে পদত্যাগ করার মতো কথা বলতে পারেন।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে উদ্ধব গোষ্ঠী স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানো নেতাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চায় এবং সমাজে সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে।
ধর্মের নামে দেশকে ভাগ করার চেষ্টার অভিযোগ
সম্পাদকীয়তে ঠাকরে কেন্দ্র সরকারের ওপরও তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান সরকার দলিত, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের পরিকল্পিতভাবে ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। ঠাকরে দাবি করেছেন যে বিহার এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে সংখ্যালঘুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এটিকে মহান হিন্দুত্ববাদীদের নয়, বরং ভণ্ড মানসিকতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আমরা সবাই একই নৌকায় सवार
উদ্ধব ঠাকরে ভাগবতের এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ভারতে সকল ধর্মের মানুষের DNA একই রকম। যদি দেশের সামাজিক ঐক্য দুর্বল হয়, তবে তার ক্ষতি সকল সম্প্রদায়কে বহন করতে হবে। তাই এই ধরনের সংলাপ এবং মেলামেশাকে উৎসাহিত করা উচিত। তিনি ভাগবতের এই পদক্ষেপকে "राष्ट्र निर्माण"-এর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে এর স্বাগত জানিয়েছেন।