জয়পুরের কোচিং সেন্টারে জাতিগত মন্তব্য বিতর্কের ঝড়: মহিলা কনস্টেবল ও প্রতিষ্ঠান ক্ষমা চাইল

জয়পুরের কোচিং সেন্টারে জাতিগত মন্তব্য বিতর্কের ঝড়: মহিলা কনস্টেবল ও প্রতিষ্ঠান ক্ষমা চাইল
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

জয়পুরের একটি কোচিং সেন্টারে এক মহিলা কনস্টেবলের জাতিগত মন্তব্যের জেরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মীনা সমাজের যুবকদের প্রতিবাদের পর কোচিং সেন্টার এবং কনস্টেবল ক্ষমা চেয়েছেন। ঘটনার সময় পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

জয়পুর: কোচিং প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সচেতনতা কর্মসূচি বিতর্কের মোড় নেয়। এক মহিলা পুলিশকর্মীর জাতিগত মন্তব্যের কারণে ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্ক এতটাই বেড়ে যায় যে কোচিং সেন্টার এবং ওই মহিলা কনস্টেবল উভয়কেই ক্ষমা চাইতে হয়। এই ঘটনাটি শহরে নিরাপত্তা এবং সামাজিক সংবেদনশীলতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

সচেতনতা কর্মসূচি থেকে শুরু বিতর্ক

জয়পুরের একটি স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারে বৃহস্পতিবার একটি সচেতনতা অভিযান আয়োজিত হয়েছিল। কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের আইন, ট্র্যাফিক নিয়ম এবং নারী সুরক্ষা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া। এই সময় ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্বও রাখা হয়েছিল, যেখানে মহিলা পুলিশকর্মী শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

স্বাভাবিক পরিবেশে চলা এই কর্মসূচি তখনই উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে যখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন মহিলা কনস্টেবল মজাচ্ছলে একটি জাতিগত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যটি ছাত্রছাত্রীদের একেবারেই ভালো লাগেনি এবং অবিলম্বে বিতর্কের রূপ নেয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষকে লিখিত ক্ষমা চাইতে হয়।

মীনা সমাজের যুবকদের প্রতিবাদ

মহিলা কনস্টেবলের মন্তব্যটি বিশেষত মীনা সমাজের যুবকদের জন্য আপত্তিকর বলে মনে করা হয়। কিছু ছাত্র অবিলম্বে প্রতিবাদ জানায় এবং মঞ্চে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে। ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের প্রতিনিধিদের বক্তব্য ছিল যে, এই মন্তব্যটি ভুল বার্তা দেয় এবং সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়গুলিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

স্থানীয় যুবকদের প্রতিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে কোচিং সেন্টারে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে মহেশ নগর, সোডালা, মানসরোভার এবং শিপ্রাপথ থানার পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পরিস্থিতি তখনই শান্ত হয় যখন কোচিং প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ক্ষমা চায়।

মহিলা কনস্টেবলও ক্ষমা চাইলেন

বিতর্ক বেড়ে যাওয়ার পর মহিলা কনস্টেবলকে কোচিং সেন্টারে ডাকা হয়। মহেশ নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুঞ্জন সোনি বর্মা এবং মানসরোভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাখন সিং তাঁর সঙ্গে সেখানে পৌঁছান। মহিলা কনস্টেবল মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করেন যে তাঁর মন্তব্যটি ভুলবশত বেরিয়ে এসেছে এবং এর জন্য তিনি দুঃখিত।

তিনি ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের প্রতি তাঁর ক্ষমা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল না করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই ক্ষমাপ্রার্থনায় ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের কিছু প্রতিনিধির ক্ষোভ শান্ত হয় এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Leave a comment