কথাবাচক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার জয়া কিশোরী মনে করেন যে জীবনে সমস্যা স্থায়ী হয় না। তিনি বলেন, যখন মন ভারাক্রান্ত হয়, তখন প্রাণ খুলে কাঁদলে মন হালকা হয়ে যায় এবং মানুষ আবার দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে পারে। জয়া কিশোরীর মতে, কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনাই প্রতিটি সমস্যার সমাধান।
Jaya Kishori Motivational Thought: কথাবাচক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার জয়া কিশোরী জীবনের অসুবিধা মোকাবিলা করার একটি সহজ উপায় বলেছেন। তিনি বলেন, যখন একজন ব্যক্তি চারদিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত হন, তখন প্রথমে নিজেকে ভেঙে পড়তে দেওয়া উচিত নয়। জয়া কিশোরীর মতে, দুঃখ দমন করার পরিবর্তে কিছুক্ষণ কেঁদে নেওয়া উচিত, কারণ এতে মন হালকা হয় এবং ব্যক্তি নতুন শক্তি নিয়ে আবার কাজে ফিরতে পারে। তাঁর বার্তা হল, সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে তার সমাধান অবশ্যই বেরিয়ে আসে।
কঠিন সময়ে কীভাবে নিজের উপর আস্থা রাখবেন
কথাবাচক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার জয়া কিশোরী তাঁর অনুপ্রেরণামূলক চিন্তাভাবনা দিয়ে মানুষকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেন। তিনি বলেন, যখন একজন ব্যক্তি চারদিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত হন এবং কোনো আশা দেখা যায় না, তখন প্রথমে নিজেকে ভেঙে পড়তে দেওয়া উচিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে হতাশা স্বাভাবিক, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে সব পথ শেষ হয়ে গেছে। জয়া কিশোরীর মতে, ব্যক্তির উচিত নিজের ভেতরে তাকিয়ে সমাধান খুঁজে বের করা, কারণ প্রতিটি সমস্যার সমাধান কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতার মাধ্যমে আসে।

জয়া কিশোরীর জীবন বদলে দেওয়া চিন্তা
জয়া কিশোরী বলেন, যখন মন খুব দুঃখী হয়ে যায়, তখন নিজের অনুভূতি দমন করার পরিবর্তে কিছুক্ষণ প্রাণ খুলে কেঁদে নেওয়া উচিত। এতে মন হালকা হয় এবং ব্যক্তি মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়। তিনি মনে করেন যে কান্না করলে সমস্যা শেষ হয় না, তবে এর ফলে দুঃখ বারবার পীড়িত করে না।
এর পরে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যক্তি আবার তার কাজে ফিরে আসে এবং নতুন শক্তি নিয়ে শুরু করে। তাঁর বার্তা হল, সমস্যা জীবনের অংশ, কিন্তু সেগুলির মোকাবিলা কেবল তারাই করতে পারে যারা নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখে এবং নিজেদের কঠোর পরিশ্রমে আস্থা রাখে।
কঠোর পরিশ্রমেই মেলে সমাধান
জয়া কিশোরী তাঁর বক্তৃতায় বলেন যে কোনো সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়, বরং তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা উচিত। যখন মানুষের মন বিষণ্ণ থাকে, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়, তাই প্রথমে মনকে শান্ত করা এবং তারপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করা জরুরি।
তিনি বলেন যে যখন একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ সততার সাথে তার কাজে মনোযোগ দেন, তখন ভগবানও তাকে সাহায্য করেন। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং বিশ্বাস, এই তিনটি জিনিস জীবনের প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতিকে সহজ করে তুলতে পারে।
ইতিবাচক চিন্তাভাবনাতেই বদলায় দিক
জয়া কিশোরীর চিন্তাভাবনা আজকের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি বলেন যে সমস্যাগুলি চিরকাল স্থায়ী হয় না, তবে হার মেনে নেওয়া সবচেয়ে বড় ভুল। মনকে শক্তিশালী করে এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করে মানুষ প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
তাঁর এই বার্তা কেবল আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য, তা ব্যক্তিগত হোক বা পেশাগত।
জয়া কিশোরীর সুচিন্তা আমাদের শেখায় যে জীবনের অসুবিধাগুলি থেকে পালিয়ে না গিয়ে তাদের সাহসের সাথে মোকাবিলা করা উচিত। কেঁদে মন হালকা করা দুর্বলতা নয়, বরং আবার উঠে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি। যে ব্যক্তি তার লক্ষ্যের উপর কেন্দ্রীভূত থাকে এবং মনকে শান্ত রাখে, সে-ই অবশেষে সাফল্য অর্জন করে।













