চাঞ্চল্যকর ঘটনা: ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে রক্ত নেওয়ার পর পাঁচটি শিশুর শরীরে ধরা পড়ল এইচআইভি ভাইরাস। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে এক সাত বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

রক্ত নেওয়ার পর একে একে অসুস্থ শিশুদের শরীরে ধরা পড়ল ভাইরাস
চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রক্ত নিতে হয় ওই শিশুদের। কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা রক্ত নেওয়ার পর একাধিক শিশুর শরীরে দেখা দেয় অস্বাভাবিক উপসর্গ। পরীক্ষা করতেই জানা যায়, তারা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। ঘটনার পর পরিবারগুলির মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ।
গাফিলতির অভিযোগে সরব পরিবার ও স্থানীয়রা
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই রক্ত সরবরাহ করা হয়। যার জেরেই এমন বিপর্যয় ঘটেছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, “আমাদের সন্তানদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে হাসপাতাল।
তদন্তে নামল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ঘটনার কারণ জানতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, রক্ত পরীক্ষায় গাফিলতি বা নমুনা বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহের প্রতিটি ধাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ: ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
চিকিৎসক মহলের একাংশ জানিয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটলে তা রক্তদানের প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা নষ্ট করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, “রক্ত নেওয়ার আগে প্রতিটি ইউনিটে নির্ভুল স্ক্রিনিং আবশ্যক। নয়তো একটির ভুলেই একাধিক প্রাণ বিপন্ন হতে পারে।”
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর অবস্থাও উদ্বেগজনক
আক্রান্তদের মধ্যে এক সাত বছরের থ্যালাসেমিয়া রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। নিয়মিত রক্ত নেওয়ার কারণে সে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল। এখন তার এইচআইভি ধরা পড়ায় চিকিৎসকরা বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন শিশুটিকে।

ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার সরকারি হাসপাতাল থেকে রক্ত নেওয়ার পর পাঁচ শিশুর শরীরে মিলল এইচআইভি ভাইরাস। আক্রান্তদের মধ্যে এক ৭ বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুও রয়েছে। গাফিলতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।












