জিতিয়া ব্রত ২০২৫: ১৪ সেপ্টেম্বর পালিত হবে, জানুন নিয়ম ও তাৎপর্য

জিতিয়া ব্রত ২০২৫: ১৪ সেপ্টেম্বর পালিত হবে, জানুন নিয়ম ও তাৎপর্য

জিতিয়া ব্রত বা জীবৎপুত্রিকা ২০২৫ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর পালিত হবে। এটি মূলত উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের দ্বারা সন্তানদের সুখ-সমৃদ্ধি এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য পালন করা হয়। ব্রতটি নির্জলা হয় এবং এর সঙ্গে বিশেষ নিয়ম ও ঐতিহ্য মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

জিতিয়া ব্রত ২০২৫: সন্তানদের মঙ্গল ও মায়ের ভক্তির উৎসব: জিতিয়া ব্রত বা জীবৎপুত্রিকা মূলত উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পালিত হবে। মহিলারা তাদের সন্তানদের সুখ-সমৃদ্ধি এবং জীবনের সমস্যা দূর করার জন্য এই ব্রত পালন করেন। যোগ্য সন্তান কামনা করেন এমন মহিলারাও এটি পালন করতে পারেন। ব্রতের সময় নির্জলা উপবাস, বাড়ি ও পূজার স্থান পরিষ্কার রাখা, মাতা জিতিয়ার পূজা এবং ব্রতকথা পাঠ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, ব্রতের সময় তামসিক আহার, জল পান এবং বিতর্ক এড়িয়ে চলা উচিত।

জিতিয়া ব্রতের নিয়ম ও পালন

  • নাহায়-খায় ব্রত: জিতিয়া ব্রত গ্রহণকারী মহিলাদের ব্রত পালনের একদিন আগে নাহায়-খায় করতে হবে। এই দিন সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা হয় এবং খাবারে রসুন-পেঁয়াজ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সাধারণত এই দিন মুরুয়া রুটি এবং নোনি শাক খাওয়া হয়।
  • শুচিতা: ব্রত পালনের একদিন আগেই বাড়ি ও পূজার স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। এই ঐতিহ্য ব্রতের পবিত্রতা বজায় রাখতে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • নির্জলা ব্রত ও পূজা: জিতিয়া ব্রত নির্জলা হয়, অর্থাৎ এই দিন জল পান করা নিষিদ্ধ। সন্ধ্যায় মাতা জিতিয়ার পূজা এবং ব্রতকথা পাঠ করা বাধ্যতামূলক।
  • ব্রত পালন (পারন): ব্রত পালন (পারন) নবমী তিথিতে করা হয়, যা ২০২৫ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর। পারনের সময় মডুয়ার রুটি এবং শাক গ্রহণ করা হয়, তবে কিছু মহিলা চিংড়ি মাছও খান। এরপর দান করাও জরুরি।

যা করা উচিত নয়

জিতিয়া ব্রতের দিন জল পান করা, তামসিক আহার করা, বিতর্ক করা বা অন্যদের অপমান করা নিষিদ্ধ। এছাড়াও, পশুদের প্রতি অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। মহিলাদের এই দিন তাদের মন, বাক্য এবং কর্মের মাধ্যমে কাউকে আঘাত না করার দিকে খেয়াল রাখা উচিত এবং জাগতিক কাজে কম ব্যস্ত থেকে ঈশ্বরের ভক্তি ও ধ্যানে সময় দেওয়া উচিত।

জিতিয়া ব্রত সন্তানদের মঙ্গল এবং মায়ের ভক্তির প্রতীক। এই দিন নিয়ম মেনে মহিলারা তাদের পরিবার এবং নিজের জন্য মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেন।

Leave a comment