চেতলা দুর্গাপুজো: মহালয়ার সন্ধ্যায় চেতলা অগ্রণীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পুজো মণ্ডপে উপস্থিত হয়ে তিনি দুর্গা প্রতিমার চোখ আঁকেন। মমতা দর্শনার্থীদের উদ্দেশে সতর্কভাবে বলেন, ভিড়ে ধাক্কা না খেতে সাবধানে চলাচল করবেন। পুজোর আয়োজন, স্থানীয় খাবার ও ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি উৎসবের বিশেষ তাৎপর্যও তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ও চোখ আঁকার মুহূর্ত
চেতলা অগ্রণীর প্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হয়ে দুর্গা প্রতিমার চোখ আঁকেন। তিনি প্যান্ডেলের সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা করেন এবং বলেন, “ববি যা করেছে এবার সেরার সেরা না হয়ে যায়! প্যান্ডেল খুব সুন্দর হয়েছে।” দর্শনার্থীরা এই মুহূর্তটি প্রত্যক্ষ করে উৎসবের আনন্দে ভেসে যান।
দর্শনার্থীদের জন্য সাবধানতার বার্তা
মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করে বলেন, “যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন, তারা সাবধানে চলবেন। মণ্ডপে ধাক্কা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।” এছাড়া তিনি স্থানীয় খাবার এবং পুজোর ভিড়ের বিষয়ে আনন্দমিশ্রিত মন্তব্যও করেন, “চার দিন ধরে যা রান্না হয় এখানে সবাই পাড়া প্রতিবেশী খায়, মজা করে। আমার বাড়িতেও এই খাবার যায়।
পুজোর ঐতিহ্য ও স্থানীয় স্মৃতি
মমতা দুর্গাপুজোর ইতিহাস ও স্থানীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আগে বাসন্তী পুজো হত। এরপর দুর্গা পুজো। সেটাই আস্তে আস্তে জাতীয় উৎসব হয়ে গেল। আমরা তাই জগন্নাথ ধামের মতো গড়ব দূর্গাঙ্গন।” পুজোর আর্কিটেকচার ডিপিআরও তিনি উল্লেখ করেন।
কেন্দ্র, পরিযায়ী শ্রমিক ও ভাষা বিষয়ক মন্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে একহাত নেন এবং জানান, রাজ্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় অর্থ সহায়তা কম। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার ও বাংলার অস্মিতার বিষয়ও তুলে ধরেন।
মহালয়ায় চেতলা অগ্রণীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্যান্ডেলের দুর্গা প্রতিমার চোখও আঁকেন তিনি। দর্শনার্থীদের সাবধানতার পরামর্শ দেন এবং পুজোর আয়োজন, ভিড় ও খাবারের বিষয়ে স্থানীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেন।