মানেসর কাণ্ড: শচীন পাইলট ক্লিনচিট পেলেও গেহলট চান তিনি জেলে যান, বিস্ফোরক অরুণ চতুর্বেদী

মানেসর কাণ্ড: শচীন পাইলট ক্লিনচিট পেলেও গেহলট চান তিনি জেলে যান, বিস্ফোরক অরুণ চতুর্বেদী

মানেসর কাণ্ডে শচীন পাইলটকে ক্লিন চিট পাওয়ার পর রাজস্থানের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপি নেতা অরুণ চতুর্বেদী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দিকে নিশানা করে বলেছেন যে গেহলট চান পাইলট জেলে যান।

জয়পুর: রাজস্থানের রাজনীতিতে মানেসর কাণ্ড নিয়ে আবারও তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি শচীন পাইলট হাইকোর্ট থেকে ক্লিন চিট পেলেও রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভজন লাল সরকারের অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ চতুর্বেদী খোলাখুলি বলেছেন যে গেহলট চান পাইলট জেলে যান। চতুর্বেদীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

অরুণ চতুর্বেদীর গেহলটের প্রতি কড়া খোঁচা

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় অরুণ চতুর্বেদী বলেছেন যে মানেসর কাণ্ডে হাইকোর্ট পাইলটকে ক্লিন চিট দেওয়ার পরেও গেহলট মানতে নারাজ যে বিষয়টি আইনগতভাবে শেষ হয়ে গেছে। চতুর্বেদী বলেছেন যে যদি আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে চলছে এবং আদালত রায় দিয়েছে, তবে গেহলটের এটি মেনে নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেছেন যে পুলিশ এবং প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। চতুর্বেদীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক আলোচনা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তার মতে, পাইলটের বিরুদ্ধে গেহলটের অবস্থান কেবল অপ্রয়োজনীয় নয়, রাজনৈতিকভাবেও বিতর্কিত।

মানেসর মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের বক্তব্য

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যে ২০২০ সালের মানেসর কাণ্ডে এফআর (ফাইনাল রিপোর্ট) জমা দিলে মামলা শেষ হয় না। তিনি আরও বলেছেন যে যদি হাইকোর্ট এফআইআর বাতিল (কোয়াশ) করে দেয়, তবে বিষয়টি আলাদা। গেহলট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ২০২০ সালের ঘটনাটি কেবল একটি তত্ত্ব ছিল না, বরং এতে সরকার ফেলার একটি বাস্তব ষড়যন্ত্র জড়িত ছিল।

গেহলটের এই মন্তব্য রাজনৈতিক পরিবেশকে আবারও উত্তপ্ত করে তুলেছে। তার সমর্থনে অনেক কংগ্রেস নেতা যুক্তি দিয়েছেন যে পাইলটের ক্লিন চিট পাওয়ার মানে এই নয় যে রাজনৈতিক বিতর্ক শেষ হয়ে গেছে। এতে রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা তীব্র হয়েছে।

চতুর্বেদী গেহলটের আইনি আপত্তির উপর প্রশ্ন তুললেন 

অরুণ চতুর্বেদী এই প্রশ্নও তুলেছেন যে যখন কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, তখন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গেহলট এবং সেই সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী ধরনের ত্রুটি ছিল। তিনি বলেছেন যে এখন যখন আইন তার কাজ করছে, তখন গেহলটের আপত্তি কেন? তার মতে, কোনো ব্যক্তিকেই আইনের ঊর্ধ্বে বিবেচনা করা যায় না।

চতুর্বেদী এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন যে রাজনৈতিক বিষয়গুলি আইনের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তিনি বলেছেন যে প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও নিরপেক্ষ তদন্ত চলছে।

Leave a comment