আমেরিকা কর্তৃক ভারতের উপর চাপানো ৫০% শুল্ক নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে জবাব চেয়েছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। তিনি এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ এবং ‘দুর্বল করার পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন, পাশাপাশি সরকারের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল দাবি করেছেন। সংসদে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
Uttar pradesh: আমেরিকা কর্তৃক ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% পর্যন্ত ভারী শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র প্রধান মায়াবতী এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কেন্দ্র সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি এটিকে ভারতের আত্মসম্মান ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট কৌশল দাবি করেছেন। মায়াবতী বলেছেন, এটি কেবল ব্যবসায়িক নয়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ, যা উপেক্ষা করা যায় না।
মায়াবতীর অভিযোগ
মায়াবতী আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে ব্রাজিলের মতো ব্রিকস দেশগুলোর উপর আরোপিত শুল্কের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ভারতকে লক্ষ্য করে একতরফা এবং বিদ্বেষপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, এখন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। তার মতে, শুধু বাগাড়ম্বর দিয়ে কাজ হবে না, এখন মাঠ পর্যায়ে ठोस নীতির প্রয়োজন।
সংসদে বিতর্ক ও জাতীয় ঐক্যের দাবি
বিএসপি সুপ্রিমো সংসদের বর্তমান অধিবেশনে এই বিষয়ে বিস্তারিত ও গঠনমূলক আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন দেশের বিশ্বব্যাপী সুনাম ক্ষুন্ন করছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সমস্ত দলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় স্বার্থে চিন্তা করা দরকার, তবেই ভারত এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারবে।
বিএসপির নীতি ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ
মায়াবতী পুনরায় বলেন যে তাঁর দল সর্বজন হিত এবং রাষ্ট্রের সামাজিক-অর্থনৈতিক ভারসাম্যের পক্ষে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে, ভারত বিশ্ব মঞ্চে আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল—এখন সময় এসেছে নীতিগত দৃঢ়তা এবং জাতীয় ঐক্যের সাথে এই সংকটের মোকাবিলা করার।