দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ করেই মন খারাপ হওয়া সাধারণ। কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না হওয়া, নিজেকে একা ভাবা—এইসব মুহূর্তে সবকিছুই কম আনন্দদায়ক মনে হয়। এমন অবস্থা সাধারণত নিজেই ঠিক হয়ে যায়, তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয়, তবে সেটাকে ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার বা মানসিক অবসাদ বলা হয়।
হঠাৎ মন খারাপের পেছনে কারণ
মানসিক অবসাদের কারণ একাধিক হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে চাপ, প্রেমের জটিলতা, দাম্পত্য জীবন বা পারিবারিক অস্থিরতা—সব মিলিয়ে মানুষের মানসিক অবস্থা প্রভাবিত হতে পারে। অবহেলা করলে সমস্যা বাড়তে পারে, তাই প্রথমেই লক্ষণগুলো শনাক্ত করা জরুরি।
দীর্ঘস্থায়ী মন খারাপ
সদা মন খারাপ থাকা, এমনকি আনন্দের মুহূর্তেও হতাশা অনুভব করা—এটি মূল সতর্কতা চিহ্ন। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা লাগা, দৈনন্দিন কাজকর্ম একঘেয়ে মনে হওয়া, খাওয়া-দাওয়া বা ঘুমেও আগ্রহ কমে যাওয়া—সবই ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা ও ক্লান্তি
ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রা, দিনের পরদিন ক্লান্ত থাকা, মনোযোগে ঘাটতি এবং আত্মবিশ্বাসে হ্রাস—এগুলো ডিপ্রেশনের প্রধান লক্ষণ। এমন অবস্থায় ছোট সিদ্ধান্ত নেওয়াও কঠিন মনে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
মানসিক উত্তেজনা ও সম্পর্কের দূরত্ব
বারে বারে মেজাজ খারাপ হওয়া, খিটখিটে হয়ে ওঠা এবং পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়া—ডিপ্রেশনের আরেকটি পরিচয়। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ কথোপকথন ও সামাজিক মেলামেশার আগ্রহও কমে যায়।
শারীরিক সমস্যা ও অসুস্থতার ভাব
ডিপ্রেশনের সাথে কখনও কখনও শারীরিক সমস্যা যুক্ত হয়। মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, হঠাৎ অম্বলের সমস্যা, রাতে ঘাম হওয়া—এসব শারীরিক চিহ্নও সতর্কবার্তা। এই লক্ষণ দেখা দিলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।