Money Making Tips: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের সাহাপাড়ায় শীতের শুরু মানেই বড়ি তৈরির মরশুম। ভোর থেকে ব্যস্ত থাকেন গৃহবধূরা—ডাল ভিজানো, বাটা, মশলা মেশানো, আর হাতে গড়া গোল বা চ্যাপ্টা বড়ি তৈরি। এরপর সেগুলি শুকিয়ে বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে, এমনকি পৌঁছে যায় বিদেশেও। এই ঘরোয়া ব্যবসায় এখন আয় হচ্ছে প্রচুর, বদলে যাচ্ছে গ্রামের অর্থনীতি ও মহিলাদের জীবনযাত্রা।

উত্তরবঙ্গের নতুন রোজগারের দিশা
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে এখন শীতের সকালে একটাই ব্যস্ততা—ডালের বড়ি তৈরি। কাপড় বিছিয়ে তার ওপর সারি সারি বড়ি সাজানো দৃশ্য যেন এক উৎসবের ছবি। স্থানীয়রা বলেন, “এখন আমাদের বড়ি শুধু বাড়ির রান্নাঘরেই নয়, রাজ্য পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে।”
মহিলাদের হাতে গড়া সফলতা
এই ব্যবসার মূল কারিগর গৃহবধূরা। কেউ কেউ আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করছেন, তবে বেশিরভাগই এখনও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতেই তৈরি করেন বড়ি। সকাল সকাল কাজ শুরু হয়, ডাল বাটার পর মশলা মিশিয়ে হাতে তৈরি করা হয় নানা আকৃতির বড়ি। এই হাতের ছোঁয়াই নাকি স্বাদের মূল রহস্য।

দেশ-বিদেশে জলপাইগুড়ির স্বাদ
ময়নাগুড়ির বড়ির চাহিদা শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, পৌঁছে গেছে ত্রিপুরা, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, এমনকি চিনসহ বিদেশেও। অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমেও এখন এই বড়ি বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, “অনেক বিদেশি ক্রেতা এখন নিয়মিত অর্ডার দেন, এতে গ্রামের মহিলাদের আয়ও বেড়েছে।”
ঘরে বসেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা
বড়ি তৈরির এই ছোট ব্যবসা এখন বড় পরিবর্তনের গল্প বলছে। অনেক মহিলা যাঁরা আগে সংসারে সীমাবদ্ধ ছিলেন, আজ তাঁরাই সংসারের আর্থিক ভিত্তি। হাতে তৈরি বড়ি বিক্রি করে মাসে কয়েক হাজার টাকা রোজগার করছেন তাঁরা, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি এনেছে।

জলপাইগুড়ির মহিলারা ঘরে বসেই তৈরি করছেন ঐতিহ্যবাহী ডালের বড়ি, যা এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ময়নাগুড়ির সাহাপাড়ায় শীত নামলেই শুরু হয় বড়ি তৈরির উৎসব। হাতে গড়া এই বড়ি স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে, আর মহিলাদের জন্য খুলছে স্বনির্ভরতার দরজা।













