সাইকেল চেপে দোকানে, ফেরা হল অশ্রুভেজা—‘খেজুর’ ছিল ধর্ষকের ছদ্মবেশ! সোনামুখীর ছোট্ট মেয়ে সাইকেলে করে গিয়েছিল চকোলেট কিনতে। সেখানেই পেশায় টোটোচালক এক যুবক ‘খেজুর’ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় নির্জন পুকুরপাড়ে। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে সেই যুবক তার উপর চালায় বর্বর যৌন নির্যাতন। ছোট্ট শরীর আর মানসিকতা ধরে রাখতে পারেনি বিভীষিকার ভার।
ফিরে এসে নীরব কান্না, মেয়ের কণ্ঠে শোনা গেল ভয়াবহ বাস্তবের গলদঘর্ম চিৎকার
শিশুটি যখন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে, তখন কেউ বুঝতেই পারেনি তার ভিতরে কী তোলপাড় চলছে। মায়ের কোলে মুখ গুঁজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলে, তার সঙ্গে কী ঘটেছে। সেই কথায় কেঁপে ওঠে বাবা-মার বুক। মুহূর্তেই খবর যায় থানায়।
অভিযুক্ত গ্রেফতার, পকসো ধারায় কড়া মামলা, আদালতে তোলা হল অপরাধীকে
পরিবার কোনও সময় নষ্ট করেনি। পুলিশকেও খুঁজে পেতে হয় না। অভিযুক্তকে রাতেই পাকড়াও করে সোনামুখী থানার পুলিশ। সোমবার বিষ্ণুপুর আদালতে পেশ করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। শিশুর উপর এমন পাশবিকতার জন্য সর্বোচ্চ সাজা চায় পুলিশ ও পরিবার দুই-ই।
বিষন্ন শ্বাস, স্তব্ধ চোখ—হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা শিশু, সঙ্কট কাটেনি এখনো
অত্যাচারের ধাক্কায় শিশু এখন শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বিশেষ মনোবিদদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে তাকে।
চেনা মুখেই ছুরি! পারিবারিক আস্থার সুযোগ নিয়ে চালানো হয়েছিল আঘাত
নাবালিকার মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তাদের পূর্বপরিচিত। সেই বিশ্বাসের আড়ালেই চলেছিল ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। বাবা বলেন, ‘‘আমাদের চেনা মানুষই আজ সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে। আমরা চাই, আদালত যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়।’’
পুলিশের কথায় আশ্বাস: দ্রুত চার্জশিট, দ্রুত বিচার—আরও কোনও অভিযুক্ত নেই বলেই প্রাথমিক ধারণা
ঘটনার তদন্তে নেমে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মাকসুদ হাসান জানিয়েছেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। এখনই অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা নেই বলে মনে করছে পুলিশ। দ্রুত চার্জশিট পেশ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রশাসনের তরফে।