প্রতি বছর ২ আগস্ট পালিত হয় ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে, যা আমাদের শৈশবের রঙিন স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই দিনটি শুধু শিশুদের জন্য নয়, বরং সব বয়সের মানুষের জন্য যারা তাদের জীবনে সৃজনশীলতা, রিলাক্সেশন এবং আনন্দ খুঁজে পেতে চান। যদি আপনি মনে করেন যে কালারিং শুধু বাচ্চাদের খেলা, তাহলে একটু থামুন! আজকাল অ্যাডাল্ট কালারিং বুকস বিশ্বজুড়ে ট্রেন্ড করছে – এবং এর পেছনে একটি খুব বিশেষ কারণ আছে: স্ট্রেস কমানো এবং মানসিক শান্তি পাওয়া।
ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে-র ইতিহাস
এই বিশেষ দিনটির শুরু Dover Publications-এর মাধ্যমে, মে ২০১৫ সালে, যাতে কালারিং-এর সুবিধা এবং এর সৃজনশীলতাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু কালারিং বুকসের ইতিহাস এর থেকেও পুরনো। ১৮৮০-এর দশকে McLoughlin Brothers বিখ্যাত আর্টিস্ট Kate Greenaway-এর সাথে মিলিত হয়ে প্রথম কালারিং বুক পাবলিশ করেছিল। এই বইগুলো শুধু বিনোদন নয়, বরং শিক্ষা এবং থেরাপির উদ্দেশ্যেও তৈরি করা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হল, শুরুতে কালারিং বুকস বড়দের জন্যেই ছিল। পরে এটি শিশুদের জগতে প্রবেশ করে। তারপর ১৯৭০ সালে Dover Publications ‘Antique Automobiles Coloring Book’-এর সাথে আবার বড়দের জন্য কালারিং বুকসের প্রত্যাবর্তন ঘটায়।
কেন खास কালারিং?
কালারিং শুধু রঙ করার নাম নয়, বরং এটি এক ধরনের মেডিটেশন। এটা আপনাকে বর্তমানে বাঁচতে শেখায় এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা থেকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি দেয়।
কালারিং-এর কিছু বড় সুবিধা:
- মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমায়
- ফোকাস এবং একাগ্রতা বাড়ায়
- ক্রিয়েটিভিটিকে উৎসাহিত করে
- সেল্ফ-এক্সপ্রেশনে সাহায্য করে
- মেডিটেটিভ অভিজ্ঞতা দেয়
কীভাবে পালন করবেন ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে?
1. নতুন কালারিং বুকস কিনুন
নিজের জন্য একটি নতুন এবং সুন্দর কালারিং বুক বেছে নিন। আজকাল বাজারে থিম ভিত্তিক বই পাওয়া যায় – যেমন ম্যান্ডালা আর্ট, নেচার, মোটিভেশনাল কোটস এবং আরও অনেক কিছু।
2. কালারিং গ্রুপের অংশ হন
যদি বন্ধুদের বা পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন, তাহলে একটি ছোট কালারিং সেশন প্ল্যান করুন। চায়ের চুমুক এবং হাসি-ঠাট্টার সাথে রঙ করা দ্বিগুণ মজা দেবে।
3. শান্তিতে রং করুন – সোলো রিট्रीट
যদি আপনি একা সময় কাটাতে পছন্দ করেন, তাহলে একটি কোজি কর্ণার তৈরি করুন, আপনার পছন্দের রং এবং ওয়াইন-এর সাথে एकांत में কালারিং করুন। এটি আপনাকে একটি আলাদা আত্মিক অভিজ্ঞতা দেবে।
4. আপনার আর্টওয়ার্ক শেয়ার করুন
আপনার তৈরি করা আর্টওয়ার্কের ছবি তুলুন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন। আপনার ভেতরের শিল্পীকে বাইরে আনুন এবং অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করুন।
5. প্রকৃতির কোলে রং করুন
যদি আবহাওয়া মনোরম হয় তবে কোনো পার্ক বা গার্ডেনে বসে কালারিং করুন। খোলা আকাশ এবং তাজা বাতাসে রং করার মজাই আলাদা।
6. নিজের কালারিং বুক তৈরি করুন
যদি আপনি ড্রয়িং করতে পছন্দ করেন, তাহলে কেন নিজের ডিজাইন দিয়ে একটি পার্সোনাল কালারিং বুক তৈরি করবেন না? এটি আপনার জন্য একটি স্মরণীয় প্রোজেক্ট হতে পারে।
7. কমিউনিটি প্রোজেক্টে অংশ নিন
আপনার স্কুল, সোসাইটি বা লাইব্রেরিতে একটি যৌথ কালারিং ইভেন্ট আয়োজন করুন। এটি একটি চমৎকার উপায় নতুন মানুষের সাথে যুক্ত হওয়ার এবং শিল্পের মাধ্যমে সমাজকে একত্রিত করার।
জেনে নিন কিছু रोचक তথ্য
- অ্যাডাল্ট কালারিং বুকস এখন একটি মাল্টি মিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠেছে।
- রং-এর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব রয়েছে – বিশেষ করে নীল, সবুজ এবং বেগুনী রঙ শান্তি প্রদানকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।
- কিছু থেরাপিস্টও এখন কালারিং-কে থেরাপি টুল হিসেবে ব্যবহার করেন।
ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে রং-এ শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং শান্তি এবং আত্মিক আনন্দও লুকানো থাকে। ২ আগস্ট কিছু সময় বের করুন, আপনার পছন্দের কালারিং বুকটি নিন এবং রঙের সাথে মনের শান্তি খুঁজে নিন। এই দিনটি শুধু একটি কার্যকলাপ নয়, বরং একটি থেরাপিউটিক অভিজ্ঞতা – যেখানে প্রতিটি রঙ আপনার ক্রিয়েটিভিটি এবং খুশিকে নতুন রূপ দেয়।