শারদীয়া নবরাত্রি ২০২৫ এর সূচনা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে হয়েছে এবং ভক্তরা মা দুর্গার নব রূপের পূজা করছেন। বৃন্দাবনের প্রেমানন্দ মহারাজ ভক্তদের ভক্তি এবং প্রকৃত মন্ত্র জপের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধা সহকারে করা জপ জীবনে মায়ের উপস্থিতির অনুভব করায়।
Navratri 2025: শারদীয়া নবরাত্রির সূচনা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে হয়েছে এবং ভক্তরা মা দুর্গার নব রূপে পূজা করছেন। বৃন্দাবনে বসবাসকারী প্রখ্যাত সাধু প্রেমানন্দ মহারাজ একজন ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন যে, কেবল "মা মা" জপ করাও মায়ের দৃষ্টি লাভের পথ হতে পারে, যদি তা শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সাথে করা হয়। এই উপলক্ষে ভক্তরা পূজা, মন্ত্র জপ এবং ভক্তির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শক্তি, শান্তি এবং মায়ের আশীর্বাদ অনুভব করছেন।
শারদীয়া নবরাত্রির সূচনা এবং গুরুত্ব
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শারদীয়া নবরাত্রির পবিত্র উৎসব শুরু হয়েছে এবং পুরো নয় দিন ধরে দেশজুড়ে মা দুর্গার জয়ধ্বনি শোনা যাবে। হিন্দু ধর্মে নবরাত্রির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ এই সময়ে শক্তি স্বরূপা নবদুর্গার নয়টি ভিন্ন রূপের পূজা করা হয়। এই উৎসব কেবল দেবী শক্তির গুরুত্বই প্রকাশ করে না, বরং ভক্তদের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তি এবং আস্থার সঞ্চারও করে। নবরাত্রিতে ভক্তরা তাদের বাড়িতে এবং মন্দিরে বিশেষ পূজা-অর্চনা করেন এবং মায়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন মন্ত্র জপ করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করেন।
প্রেমানন্দ মহারাজের উত্তর
বৃন্দাবনে বসবাসকারী প্রখ্যাত সাধু প্রেমানন্দ মহারাজ সম্প্রতি একজন ভক্তের প্রশ্নের এমন উত্তর দিয়েছেন যা বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে। ভক্ত জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মহারাজ জি, আমি কোনো নাম জপ করি না, আমি কেবল 'মা মা' জপ করি, তাহলে কি আমার উপর মায়ের দৃষ্টি পড়বে?" এর উত্তরে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, “মাও ভগবানের এক স্বরূপ, তাই তাঁর সাথে যুক্ত হওয়া জরুরি। যেমন আমরা মা দুর্গা, মা কালীর ধ্যান করি, তেমনই আপনিও দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী, সরস্বতী ইত্যাদির পাঠ করুন এবং তাঁদের মন্ত্র জপ করুন।”
শব্দ নয়, ভাবের সঞ্চার
মহারাজ আরও বুঝিয়েছেন যে প্রকৃত জপ কেবল শব্দের উচ্চারণ নয়, বরং ভাবের সঞ্চার। যদি ভক্ত মন, বাক্য এবং কর্ম এই তিনটির মাধ্যমে মাকে আহ্বান করে, তবে সে জীবনে সর্বদা মায়ের উপস্থিতি অনুভব করবে। প্রেম, করুণা এবং শান্তিতে ভরা মনের ভক্তরাই মায়ের সাক্ষাৎ রূপ অনুভব করতে পারে। এইভাবে ভক্তির অর্থ কেবল মন্ত্র জপ বা পূজা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ ভাব এবং আস্থার প্রত্যক্ষ অনুভব।
প্রেমানন্দ মহারাজ এবং তাঁর অবদান
প্রেমানন্দ মহারাজ রাধা রানীর পরম ভক্ত হিসেবে পরিচিত এবং তিনি বর্তমানে বৃন্দাবনে বসবাস করেন। তিনি নিয়মিতভাবে প্রবচন দিয়ে মানুষকে ভক্তি পথে চলতে শেখান এবং ধর্মীয় নিয়মাবলী পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁর অনুগামীরা তাঁর নির্দেশিত পথ এবং নীতি অনুসারে মায়ের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা বজায় রাখেন। নবরাত্রির সময় তাঁর প্রবচন ও নির্দেশনা ভক্তদের জন্য বিশেষভাবে পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রমাণিত হয়।
ভক্তির এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা
শারদীয়া নবরাত্রির এই নয় দিনে ভক্তরা মায়ের নয়টি রূপের পূজা করতে গিয়ে তাদের জীবনে ইতিবাচক শক্তি, শান্তি এবং ভক্তির অনুভব লাভ করেন। প্রেমানন্দ মহারাজ প্রদত্ত বার্তা থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে, ভক্তি কেবল মন্ত্র বা পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে আবেগ এবং আস্থার সঞ্চারও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই নবরাত্রিতে ভক্তরা এই শিক্ষাগুলো গ্রহণ করে তাদের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তি এবং প্রকৃত ভক্তির অনুভব করতে পারেন।
এই নবরাত্রিতে, ভক্তরা প্রেমানন্দ মহারাজের শিক্ষাগুলি গ্রহণ করে মা দুর্গার উপাসনা করুন এবং তাদের জীবনে শান্তি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করুন।