নেপালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং প্রধানমন্ত্রী পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পর ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাগিনা থেকে নির্বাচিত সাংসদ এবং আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান चंद्रशेखर আজাদ মোদি সরকারকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের সুরক্ষা ও স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউপি সংবাদ: নেপালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী পি. শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। এর ফলস্বরূপ, উত্তরপ্রদেশের নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সময়ে, নাগিনার সাংসদ এবং আজাদ সমাজ পার্টি (কাংশীরাম)-এর জাতীয় সভাপতি चंद्रशेखर আজাদ মোদি সরকারের কাছে একটি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের জীবন ও স্বার্থ সবার আগে, এবং সরকারের এই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মোদি সরকারের কাছে चंद्रशेखर আজাদের আবেদন
নেপালে সহিংসতা ও অস্থিরতার মধ্যে নাগিনার সাংসদ चंद्रशेखर আজাদ ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে মোদি সরকারের উচিত সেখানে আটকে পড়া ভারতীয় এবং পর্যটকদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।
আজাদ এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) একটি পোস্টে পরামর্শ দিয়েছেন যে এর জন্য বিশেষ বিমান, বাস এবং অন্যান্য পরিবহন মাধ্যমের ব্যবস্থা করা উচিত। একই সাথে, তিনি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সম্পত্তি এবং বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার জন্য কূটনৈতিক স্তরে ठोस উদ্যোগের দাবি করেছেন।
ইউপি-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা বৃদ্ধি
নেপালে সহিংসতার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ডিজিপি রাজীব কৃষ্ণ জানিয়েছেন যে নেপাল সংলগ্ন জেলাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শসস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) চৌকি এবং থানাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ডিজিপি বলেছেন যে নেপালে আটকে পড়া ভারতীয়রা ক্রমাগত বার্তা পাঠাচ্ছেন এবং তাদের নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই বিষয়ে ক্রমাগত নজর রাখছে।
ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষার উপর জোর
বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের সংকট ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি এবং এক্ষেত্রে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এই পরিস্থিতির প্রভাব ভারত-নেপাল সম্পর্কের উপরও পড়তে পারে।
চন্দ্রশেখর আজাদের মতে, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জীবন ও স্বার্থই সর্বোচ্চ। তাই এই সংকটময় মুহূর্তে সরকারের উচিত তাদের নাগরিকদের সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ করানো।