মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, শাহিদ আফ্রিদির মতো পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের Instagram এবং Twitter অ্যাকাউন্টগুলি ভারতে আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একদিন আগেই এই অ্যাকাউন্টগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
Accounts Ban: মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, শাহিদ আফ্রিদি সহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেলিব্রিটির Instagram এবং Twitter অ্যাকাউন্টগুলি ভারতে পুনরায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাটি ২৪ ঘণ্টার পুনরুদ্ধারের পরেই আবার আরোপ করা হয়েছে। সরকার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে এই পদক্ষেপটি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে।
পুনরায় নিষিদ্ধ হলেন পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের অ্যাকাউন্টস
ভারতে আবারও পাকিস্তানি শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, ইউমনা জায়েদি, মাওরা হোকেন এবং শাহিদ আফ্রিদির মতো পরিচিত মুখদের Instagram এবং Twitter অ্যাকাউন্টগুলি ভারতে অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যখন মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে তাদের প্রোফাইলগুলি ভারতে আবার দৃশ্যমান হতে শুরু করেছিল।
২৪ ঘণ্টার স্বস্তির পর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা
একদিন আগে অর্থাৎ ২ জুলাই সাবা কামার, শাহিদ আফ্রিদি, আহাদ রাজা মীর, মাওরা হোকেন এবং অন্যান্য শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ভারতে পুনরায় দৃশ্যমান হতে শুরু করেছিল। এছাড়াও, পাকিস্তানি বিনোদন চ্যানেল যেমন ARY Digital, হাম টিভি এবং হার পাল জিও-এর YouTube চ্যানেলগুলিও অ্যাক্সেস করা যাচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট এবং চ্যানেলগুলি আবারও ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে খারাপ পরিস্থিতি
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করা হয়েছিল। এরপরে ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অপারেশন সিঁদুর চালায় এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আসেনি
বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাকাউন্টগুলি পুনরায় নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও সরকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতেও এই নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতি জনতা এবং মিডিয়ার মধ্যে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিচ্ছে।
প্রাক্তন বিদেশ সচিব প্রশ্ন তুলেছেন
এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রাক্তন বিদেশ সচিব কনওয়াল সিব্বাল প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, অপারেশন সিঁদুর যদি সরকারের অগ্রাধিকার হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কী যুক্তি ছিল? তিনি জানতে চেয়েছিলেন, যে অ্যাকাউন্ট ও চ্যানেলগুলি আগে ভারত-বিরোধী কন্টেন্ট প্রচার করছিল, তারা কি এখন হঠাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? তাঁর মতে, সরকারের এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করা উচিত।
আগেও নিষেধাজ্ঞা ছিল
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করে। এর মধ্যে ডন নিউজ, জিও নিউজ, সামা টিভি এবং ARY নিউজের মতো বড় নাম ছিল। এই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী কন্টেন্ট প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের উপস্থিতি ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত করে দেওয়া হয়েছিল।