লখনউতে ৩২৯ কোটি টাকার ফ্লাইওভার: যানজট মুক্তি ও পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন

লখনউতে ৩২৯ কোটি টাকার ফ্লাইওভার: যানজট মুক্তি ও পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন

লখনউয়ের আলিগঞ্জ থেকে কাপুরথালা পর্যন্ত ৩২৯ কোটি টাকার ব্যয়ে ১,২০০ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে। এর ফলে এলাকার পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ যানজট থেকে মুক্তি পাবে।

UP: লখনউয়ের আলিগঞ্জ, মহানগর এবং কাপুরথালা এলাকার মানুষের জন্য সুখবর। উত্তরপ্রদেশ সেতু নিগম একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যার অধীনে ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রোল পাম্প থেকে কাপুরথালা চৌরাহা হয়ে আলিগঞ্জ পর্যন্ত একটি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এই ফ্লাইওভারটি প্রায় ১,২০০ মিটার দীর্ঘ এবং দু'লেন বিশিষ্ট হবে। এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ৩২৯ কোটি টাকা।

প্রকল্পের পরিধি এবং উদ্দেশ্য

এই ফ্লাইওভারটি মূলত আলিগঞ্জ, মহানগর, কাপুরথালা এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে যানজটের সমস্যা দূর করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে। বর্তমানে এই অঞ্চলে সকাল ও সন্ধ্যায় ব্যাপক যানজট দেখা যায়, যার ফলে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফ্লাইওভার তৈরি হয়ে গেলে মহানগর থেকে আসা যানজট মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে।

ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয়ের হিসাব

উত্তরপ্রদেশ সেতু নিগম কর্তৃক প্রস্তুত প্রস্তাব অনুযায়ী:

  • ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য ১৭৭ কোটি টাকা খরচ হবে।
  • ভূমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণের জন্য ১১৮ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে।
  • নর্দমা, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ৩৪ কোটি টাকা খরচ হবে।
  • এইভাবে, সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের খরচ ৩২৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং সাময়িক অসুবিধা

ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় কমপক্ষে দেড় থেকে দু'বছর পর্যন্ত যাত্রীদের বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে। নির্মাণ কাজের সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে এবং সম্ভবত নির্মাণকারী সংস্থা নিরাপত্তা এবং কাজের গতি বিবেচনা করে রাস্তাটি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পারে। তবে এই অসুবিধা একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে।

স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে কাপুরথালা চৌরাহা এবং আশেপাশে অবস্থিত বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের পরিচালকদের বিশেষ স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে গ্রাহকদের চার চাকার গাড়ি পার্ক করতে বেশ সমস্যা হয়, কারণ বেশিরভাগ মার্কেটে পার্কিংয়ের সুবিধা নেই। প্রস্তাব রয়েছে যে ফ্লাইওভারের নীচের জায়গাটি পার্কিং হিসাবে তৈরি করা হোক। এর ফলে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের সুবিধা হবে এবং রাস্তার যানজটও কমবে।

ডান্ডাইয়া মহল্লার জন্য এলিভেটেড রোডের পরামর্শ

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি ডান্ডাইয়া বাজারের উপর দিয়ে চার লেনের একটি এলিভেটেড রোড তৈরি করা হয়, যা বিকাশ নগর হয়ে টেড়ি পুলিয়া চৌরাহার আগে পর্যন্ত পৌঁছায়, তাহলে পুরো অঞ্চলের যানজট সম্পূর্ণভাবে দূর করা যেতে পারে। এই প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোড কাপুরথালা ফ্লাইওভারের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে।

Leave a comment