প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আগেই দুর্গাপুরের মঞ্চে অঘটন। হঠাৎই সভাস্থলের ভিতর থেকে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। উপস্থিত কর্মীরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও, চোখে পড়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী। স্বভাবতই, প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে এমন একটি নিরাপত্তাবহুল অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন! শুরু তদন্ত
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সভাস্থলে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বসানো অস্থায়ী তারের মধ্যে একটি আলগা হয়ে অন্যটির ওপর পড়ে যায়। সেই কারণেই স্ফুলিঙ্গ ও পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে অনুমান প্রশাসনের। যদিও পুলিশ ও দমকল বিভাগ পৃথকভাবে তদন্তে নেমেছে।
জল জমা, তারের ফাঁদেই বিপত্তি! বৃষ্টির জন্য দায়ী প্রাকৃতিক কারণও
গতরাতের বৃষ্টিতে সভাস্থলে জল জমে ছিল। সেই জমা জলের মধ্যেই দুটি বিদ্যুৎ তার একটির উপর আরেকটির উপর এসে পড়ে। ফলস্বরূপ সৃষ্ট হয় ফ্ল্যাশ এবং ধোঁয়া। রাজনৈতিক সভাস্থলে এমন ঝুঁকি আগাম প্রস্তুতির অভাবেই কি? প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।
সরকারি ও রাজনৈতিক মঞ্চের মাঝখানেই আগুন! বিভ্রান্তি বাড়ে
ঘটনাটি ঘটে সরকারি মঞ্চ ও রাজনৈতিক দলের মঞ্চের মাঝখানে। ঠিক সেই জায়গাটিতেই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রচার সামগ্রীও রাখা ছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড় বিপর্যয় হতে পারত বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ভাগ্য ভালো যে মুহূর্তের মধ্যে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
মোদীর আগমন আগে! ভিড়ের মাঝে উত্তেজনা তুঙ্গে
ঘটনার সময় সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘটেনি। তবে ভিড় ইতিমধ্যেই জমে উঠেছিল। হাজার হাজার মানুষ হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য। আগুনের খবর ছড়াতেই সভাস্থলে শুরু হয় হইচই। কিছুক্ষণের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পুলিশ প্রশাসনও। পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়।
দমকলের তৎপরতায় রক্ষা পেল সভা, বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল
দমকল বাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এরপর সভাস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে খতিয়ে দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আসার আগেই গোটা এলাকা নতুন করে পর্যবেক্ষণ করেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। সৌভাগ্যবশত কোনও হতাহতের খবর নেই।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন! প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি-র সভাস্থলে এমন অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটল? কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে প্রশাসন? দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তুলেছেন রাজনৈতিক নেতারা। ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।