চীন-এর বিজয় দিবসে পুতিন ও জিনপিং-এর গোপন কথোপকথন রেকর্ড হয়েছে। আলোচনায় মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং মানুষের ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। কিম জং উনও উপস্থিত ছিলেন।
চীন: চীন-এর ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপনের সময় একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীন-এর রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যেকার একটি গোপন কথোপকথন হট মাইকে রেকর্ড হয়ে যায়। এই কথোপকথনের বিষয়বস্তু ছিল অত্যন্ত বিস্ময়কর। এতে মানুষের জীবনকাল (Life Span) বৃদ্ধি, অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplant) এবং এমনকি অমরত্ব (Immortality) অর্জনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এই সময়ে উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম জং উনও উপস্থিত ছিলেন, যিনি এই আলোচনা শুনে হাসতে দেখা যায়।
কীভাবে কথোপকথনের বিষয়টি প্রকাশ্যে এল?
বিজয় দিবসের প্যারেডের উপলক্ষে বেইজিং-এর তিয়ানআনমেন স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পুতিন এবং জিনপিং একসাথে হাঁটছিলেন। এই সময় একটি হট মাইক তাদের কথোপকথন রেকর্ড করে ফেলে। যদিও এই কথোপকথনে পুতিনের মূল রাশিয়ান কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি, তবে তাঁর অনুবাদকের কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল, যেখানে বায়োটেকনোলজি এবং মানুষের জীবনকাল দীর্ঘ করার কথা বলা হচ্ছিল।
পুতিনের অনুবাদক কী বলেছিলেন?
পুতিনের অনুবাদক এই কথোপকথনের সময় বলেন, “মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধারাবাহিকভাবে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। জীবন যত দীর্ঘ হবে, মানুষ তত বেশি তরুণ দেখাবে। এমনকি অমরত্বও সম্ভব হতে পারে।” অর্থাৎ, এর ইঙ্গিত ছিল যে বায়োটেকনোলজি এবং মেডিকেল সায়েন্স যদি এই গতিতে বিকাশ লাভ করতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে মানুষের জীবনকাল ১৫০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
জিনপিং-এর উত্তর
পুতিনের অনুবাদকের কথার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীন-এর রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বলেন, “কিছু বিশেষজ্ঞের অনুমান, এই শতাব্দীতে মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।”
কিম জং উনের হাসি
যখন এই আলোচনা চলছিল, তখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও পাশেই হাঁটছিলেন। ক্লিপে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে পুতিন এবং জিনপিং-এর আলোচনা শুনে কিম হাসছেন। সম্ভবত এই আলোচনা তাঁকে অবাক করার পাশাপাশি মজাদারও লেগেছিল।