রাহুল গান্ধীর 'ডেড ইকোনমি' মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং বিরোধী নেতাকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
Dead Economy: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মতো একজন বর্ষীয়ান নেতার কাছ থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য আশা করা যায় না। রিজিজু বলেন, এই মন্তব্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ নয়, এটি দেশের বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ট্রাম্পের বক্তব্য সমর্থন করে বিপাকে রাহুল গান্ধী
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে "ডেড ইকোনমি" আখ্যা দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে রাহুল গান্ধী ট্রাম্পের বক্তব্য সমর্থন করে বলেছিলেন, "ট্রাম্প যা বলেছেন তা সত্যি। এটা সবাই জানে, শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়া।" এই মন্তব্যের পরে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
'এই ধরনের মন্তব্য দেশের সম্মানে আঘাত করে'
রিজিজু বলেন, "রাহুল গান্ধীর বোঝা উচিত তিনি কোনো ছোট নেতা নন। তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। যখন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেন, তখন সারা বিশ্ব এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। দেশের সম্মান বজায় রাখা আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।"
বিজেপি নেতাদের পাল্টা আক্রমণ
রিজিজু ছাড়াও বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, "যদি কিছু ডেড হয়ে থাকে, তবে তা হল রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ঐতিহ্য।" তিনি অভিযোগ করেন যে রাহুল গান্ধী আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।
কংগ্রেসের মধ্যেও মতভেদ
রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে কংগ্রেসের মধ্যেও ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব শুক্লা এবং সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন এবং রাহুলের অবস্থান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এই নেতাদের ধারণা, ভারতের অর্থনীতিকে ডেড বলা কেবল তথ্যগতভাবে ভুল নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীনও বটে।