কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আজ (১৫ জুলাই, ২০২৫) লখনউয়ের বিশেষ MP-MLA আদালতে পেশ হতে চলেছেন। এই হাজিরা তাঁর 'ভারত জোড়ো যাত্রা' চলাকালীন দেওয়া একটি কথিত মন্তব্যের কারণে, যেখানে তিনি ভারতীয় সৈনিকদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। আদালত রাহুল গান্ধীকে অভিযুক্ত হিসেবে সমন জারি করেছিল। এখন হাজিরা শেষে তাঁর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদন পেশ করা হবে।
রাহুল গান্ধীর আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে লখনউয়ে নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক তৎপরতাও বেড়েছে। কংগ্রেস কর্মীরা যেখানে তাঁর সমর্থনে জড়ো হয়েছেন, সেখানে বিরোধী দল এই বিষয়টিকে নিয়ে আক্রমণাত্মক রূপ নিতে পারে।
হাইকোর্ট থেকে মেলেনি স্বস্তি
এই মামলায় রাহুল গান্ধী লখনউ হাইকোর্টে সমন বাতিলের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আদালত তাঁকে কোনো স্বস্তি দেয়নি। এর ফলে তাঁকে আজ বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ হতে হচ্ছে।
এই মামলাটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এবং সীমান্ত সড়ক সংগঠন (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয় শংকর শ্রীবাস্তবের তরফে দায়ের করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে। অভিযোগে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাহুল গান্ধী ২০১৬ ডিসেম্বর, ২০২২-এ 'ভারত জোড়ো যাত্রা' চলাকালীন মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন।
কী ছিল রাহুল গান্ধীর কথিত মন্তব্য
অভিযোগ অনুসারে, রাহুল গান্ধী তাঁর মন্তব্যে বলেছিলেন, লোকেরা ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, কিন্তু আমাদের জওয়ানদের চীনা সেনারা যে মেরেছে, সেই বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। এই মন্তব্যটি তিনি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ হওয়া ভারত-চীন সংঘর্ষের প্রসঙ্গে করেছিলেন।
অভিযোগকারীর অভিযোগ, এই মন্তব্যটি শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার মনোবলকে আঘাত করে না, বরং এর মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতিতেও আঘাত লেগেছে।
মানহানির অভিযোগে আদালত ডেকে পাঠিয়েছে
এই পুরো মামলায় বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালত ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ শুনানির পর রাহুল গান্ধীকে মানহানির অভিযোগে ডেকে পাঠিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে বিচারযোগ্য এবং এতে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে।
রাহুল গান্ধীর আইনজীবী প্রাংশু আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, আদালতে পেশ হওয়ার পর জামিনের আবেদন করা হবে এবং আইনের অধীনে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।