রাহুল মোটের NCP-তে যোগদান: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

রাহুল মোটের NCP-তে যোগদান: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল মোটে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতে (NCP) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মোড় আনলেন। মোটে আগে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী এনসিপি (এসপি)-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ভুম-পারান্ডা বিধানসভা क्षेत्र থেকে বিধায়ক ছিলেন। মুম্বাইয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ডেপুটি সিএম অজিত পাওয়ার তাঁকে পার্টিতে স্বাগত জানান এবং এই ঘটনাকে পার্টি সম্প্রসারণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের অভিজ্ঞ নেতাদের পার্টিতে যোগদান সংগঠনকে তৃণমূল স্তরে শক্তিশালী করবে।

জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতির প্রয়োজন

রাহুল মোটে-র পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে অজিত পাওয়ার কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজ এবং রাজনীতির চিন্তা করা উচিত। তিনি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের স্বরাজ প্রতিষ্ঠার উদাহরণ দিয়ে বলেন যে তিনি সকল শ্রেণীকে সঙ্গে নিয়ে আদর্শ শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, সেই भावना আজও অনুসরণ করা উচিত।

অজিত পাওয়ার আরও স্পষ্ট করেন যে দলের ভিত্তি প্রবীণ নেতাদের मार्गदर्शनে স্থাপিত হয়েছিল, কিন্তু এখন তাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নেতৃত্ব এবং কর্মীদের অংশগ্রহণ জরুরি। তিনি এনসিপির ২৬ বছরের রাজনৈতিক যাত্রাকে নতুন করে শক্তি যোগাতে তরুণ এবং তৃণমূল স্তরের নেতাদের অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, এনসিপি ১০ জুন ১৯৯৯ সালে শরদ পাওয়ার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালে অজিত পাওয়ার তাঁর থেকে अलग হয়ে নতুন রাজনৈতিক পথ শুরু করেন এবং নিজের নেতৃত্বে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করেন।

সোশ্যাল মিডিয়া এবং শৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অজিত পাওয়ার

ভাষণে অজিত পাওয়ার দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার কঠোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া আজ অত্যন্ত প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে এবং কোনও কর্মীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য পুরো সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। তাই सार्वजनिक প্ল্যাটফর্মে চিন্তা ভাবনা করে কথা বলা খুবই জরুরি।

এর পাশাপাশি তিনি সকল কর্মীদের আসন্ন স্থানীয় निकाय নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন যে উন্নয়নের কাজ বিরোধী দলে থেকে নয়, বরং ক্ষমতায় থেকে কার্যকরভাবে করা সম্ভব।

বিভিন্ন জেলার বড় নেতারা অজিত পাওয়ারের শিবিরে

রাহুল মোটে ছাড়াও ধারাসিভ, अहिल्यानगर এবং আকোলা জেলা থেকেও অনেক प्रमुख নেতা এবং পদাধিকারী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছেন। এই নেতাদের পার্টিতে যোগদান संगठनात्मक দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অজিত পাওয়ার বলেন, এটি কেবল সদস্যপদ বৃদ্ধি নয়, বরং সংগঠনের মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করার দিকে একটি ठोस পদক্ষেপ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই নতুন মুখগুলির আগমনে পার্টি নিম্ন স্তরে নতুন শক্তি পাবে এবং आगामी নির্বাচনে এর सकारात्मक প্রভাব দেখা যাবে।

Leave a comment