রাকেশ টিকাইত ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কৃষি ও দুগ্ধ ক্ষেত্রকে এই চুক্তি থেকে বাদ রাখার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য - এর ফলে কৃষক নিজের জমিতেই শ্রমিক হয়ে যাবেন।
Rakesh Tikait letter to PM Modi: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি (Trade Deal) নিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে আবেদন করেছেন যে, কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কৃষি এবং দুগ্ধ ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। টিকাইত বলেছেন, যদি এই চুক্তি কার্যকর হয়, তাহলে ভারতীয় কৃষক তার নিজের জমিতেই শ্রমিক হয়ে যাবে।
কৃষি ও দুগ্ধকে চুক্তি থেকে বাদ রাখার আবেদন
ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের প্রধান এবং বিশিষ্ট কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন যে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তিতে কৃষি এবং দুগ্ধ ক্ষেত্রগুলিকে যেন বাইরে রাখা হয়। টিকাইতের মতে, যদি এই দুটি ক্ষেত্রকে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে গ্রামীণ ভারতে।
কৃষকদের উপর পড়তে পারে দ্বিগুণ মার
রাকেশ টিকাইত বলেছেন যে, আগে থেকেই ক্ষতির শিকার হওয়া ভারতীয় কৃষক এই চুক্তির পরে নিজের জমিতেই শ্রমিক হয়ে যাবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত যদি কৃষি ও দুগ্ধ ক্ষেত্রকে বিদেশি কোম্পানিগুলির জন্য খুলে দেয়, তাহলে দেশের কোটি কোটি কৃষক এবং ক্ষুদ্র উৎপাদকদের উপর বিশাল সংকট নেমে আসবে।
৯ই জুলাইয়ের আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে
টিকাইত তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন যে, আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক বছর আগে বিশ্ব বাণিজ্যে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন, যা ভারতের উপরেও প্রয়োগ করা হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্ত পরে স্থগিত করা হয়। এখন এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৯ই জুলাই শেষ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত আসতে পারে।
রাকেশ টিকাইত স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশের বিরোধী নন। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হল ভারতীয় কৃষক এবং পশু পালনকারীদের জীবিকা সুরক্ষিত রাখা। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে, কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি করা উচিত নয়।
ভারতের কৃষি ক্ষেত্র 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর মেরুদণ্ড
টিকাইত আরও বলেছেন যে, ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ ক্ষেত্র কেবল অর্থনীতির মেরুদণ্ডই নয়, এটি গ্রামীণ সমাজের জীবনযাত্রার উৎসও বটে। যদি আমেরিকার মতো পুঁজিবাদী এবং কর্পোরেট-ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থার জন্য ভারতীয় বাজার খোলা হয়, তাহলে এখানকার কৃষক বড় কোম্পানিগুলির সামনে টিকতে পারবে না এবং তার জমি থেকে বিতাড়িত হবে।