দক্ষিণের অভিনেত্রী রানি পদ্মিনীর ভয়াবহ খুন: ১৭ বার ছুরি মারে ড্রাইভার

দক্ষিণের অভিনেত্রী রানি পদ্মিনীর ভয়াবহ খুন: ১৭ বার ছুরি মারে ড্রাইভার

অভিনেত্রী রানি পদ্মিনীর মৃত্যু: চেন্নাই শহরে ঘটে এক ভয়াবহ ঘটনা, যা এখনও ভুলতে পারেনি দক্ষিণী ফিল্ম জগৎ। ১৯৮৬ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই নির্মমভাবে খুন হন রানি পদ্মিনী ও তাঁর মা। তদন্তে জানা যায়, অভিনেত্রীর প্রাক্তন ড্রাইভারই প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উপর, দেয় ১৭টি আঘাত। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ ও শোকের স্রোত।

অর্থকষ্ট থেকে ফিল্মি জগতে উত্থান

সাধারণ পরিবারের রানি পদ্মিনী ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর মা ইন্দ্রা ছিলেন ডাবিং আর্টিস্ট, যিনি মেয়েকে ছোট থেকেই নাচ শেখান। এরপর মুম্বইয়ে এসে অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন রানি। মালয়ালম সিনেমা ‘ভলঙ্গুম ভীণায়ম’ দিয়ে ১৯৮১ সালে শুরু হয় তাঁর অভিনয়যাত্রা।

দক্ষিণে জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠা

অল্প সময়েই রানি পদ্মিনী মালয়ালম, তামিল ও কন্নড় ছবিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। মাইক মোহন, কার্তি, রাজকুমার সেতুপতির মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। প্রায় ৬০টি সিনেমায় অভিনয় করে রানি হয়ে ওঠেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

ড্রাইভারের অপমানেই শুরু প্রতিশোধ

চেন্নাইয়ের নিজের বাড়িতে মা-সহ থাকতেন রানি পদ্মিনী। একদিন শুটিং শেষে ফেরার পথে ড্রাইভার আচমকা অভিনেত্রীকে চড় মারে। ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেন পদ্মিনী। কিন্তু ওই ড্রাইভার প্রতিশোধ নিতে শুরু করে ভয়ানক পরিকল্পনা।

ভয়াবহ খুন ও তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৯৮৬ সালে ড্রাইভার দুই সহযোগীর সঙ্গে অভিনেত্রীর বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রানি ও তাঁর মা। তখনই ড্রাইভার অভিনেত্রীর বুকে পরপর ১৭ বার ছুরি মারে। চার দিন পর তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাথরুম থেকে। পরে পুলিশ জানায়, তিনজনেরই পূর্বে অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল।

দেশজুড়ে শোকের ছায়া

মাত্র ২৩ বছর বয়সে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবাক হয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। দক্ষিণী সংবাদমাধ্যম থেকে বলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে শোক ও ক্ষোভ। রানি পদ্মিনীর এই মৃত্যু আজও দক্ষিণী সিনেমার ইতিহাসে এক দুঃখজনক অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে।

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি পদ্মিনীর মৃত্যু কেঁপে দিয়েছিল গোটা দেশকে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজের ড্রাইভারের হাতে ১৭ বার ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। সৌন্দর্য ও সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো এই অভিনেত্রীর অকালমৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।

Leave a comment