কম বাজেটে বেশি সুবিধা: নতুন ২০২৫ Renault Triber ফেসলিফ্ট!

কম বাজেটে বেশি সুবিধা: নতুন ২০২৫ Renault Triber ফেসলিফ্ট!

যদি আপনি এমন একটি ফ্যামিলি কারের সন্ধান করছেন যা কম বাজেটে বেশি সুবিধা দেয়, তাহলে Renault Triber-এর নতুন 2025 ফেসলিফ্ট মডেল আপনার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। এর প্রাথমিক এক্স-শোরুম দাম 6.29 লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে এবং এই দামে কোম্পানি এতে এমন কিছু ফিচার দিয়েছে যা এর থেকে দামি MPV মারুতি আর্টিগাতেও পাওয়া যায় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সাতটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা Triber-কে বিশেষ করে তোলে।

LED হেডল্যাম্প থেকে পাওয়া যাবে পরিষ্কার আলো

Renault Triber 2025-এ এখন এলইডি প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প দেওয়া হয়েছে, যা রাতের যাত্রায় আরও ভালো আলো এবং পরিষ্কার ভিশন দেয়। যেখানে Ertiga-তে এখনও হ্যালোজেন প্রোজেক্টর লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে Triber-কে আরও আধুনিক এবং নিরাপদ বলা যেতে পারে।

বড় টাচস্ক্রিনের সাথে স্মার্ট কানেক্টিভিটি

নতুন Triber-এ 8 ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট ইউনিট দেওয়া হয়েছে যা ওয়্যারলেস Android Auto এবং Apple CarPlay সাপোর্ট করে। এর বিপরীতে Ertiga-তে শুধুমাত্র 7 ইঞ্চির স্ক্রিন পাওয়া যায় এবং সেটিও তারযুক্ত কানেকশনের উপর নির্ভরশীল। Triber-এর এই সিস্টেমটি আরও বেশি সুবিধাজনক এবং আধুনিক।

ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে থেকে পাওয়া যায় সম্পূর্ণ তথ্য

Renault Triber-এ সম্পূর্ণ ডিজিটাল 7 ইঞ্চির ড্রাইভার ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। এটি শুধুমাত্র দেখতে আধুনিক নয়, বরং ড্রাইভিং সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্ক্রিনে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে, Ertiga-তে এখনও অ্যানালগ ক্লাস্টার দেওয়া হয়।

চার্জিংয়ের জন্য আর তারের প্রয়োজন হবে না

Triber-এর টপ ভ্যারিয়েন্টে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মোবাইল চার্জ করা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। Ertiga-তে এখনও পর্যন্ত এই ফিচারটি যোগ করা হয়নি, যার ফলে এটি এই দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

বৃষ্টিতে নিজে থেকেই অ্যাক্টিভ হবে ওয়াইপার

Triber এখন রেইন-সেন্সিং ওয়াইপারের সাথে আসে। অর্থাৎ বৃষ্টি শুরু হলেই এই ওয়াইপার নিজে থেকেই চালু হয়ে যাবে। এর ফলে ড্রাইভারকে ওয়াইপার অন করার প্রয়োজন হবে না। Ertiga-তে এখনও ম্যানুয়াল ওয়াইপার দেওয়া হয়।

ফ্রন্ট পার্কিংয়েও পাওয়া যাবে সাহায্য

Triber-এ এখন ফ্রন্ট পার্কিং সেন্সরও যোগ করা হয়েছে। এর ফলে সংকীর্ণ জায়গায় গাড়ি পার্ক করা আরও সহজ হয়ে যায়। Ertiga-তে শুধুমাত্র রিয়ার পার্কিং সেন্সর পাওয়া যায়, যার ফলে সামনের দিকে পার্কিং করতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।

পেছনের সিট ফোল্ড নয়, পুরোপুরি সরানো যায়

Triber-এর তৃতীয় সারির সিটগুলি সম্পূর্ণভাবে সরানো যেতে পারে। অর্থাৎ যদি বেশি লোকের যাত্রা না থাকে, তাহলে এই সিটগুলি সরিয়ে 625 লিটার পর্যন্ত বড় বুট স্পেস পাওয়া যেতে পারে। Ertiga-তে সিটগুলি শুধুমাত্র ফোল্ড করা যায়, সরানো যায় না।

ইঞ্জিন এবং পারফরম্যান্সও যথেষ্ট

Renault Triber-এ 1.0 লিটারের পেট্রোল ইঞ্জিন পাওয়া যায়, যা দৈনন্দিন ড্রাইভিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এর সাথে ম্যানুয়াল এবং এএমটি উভয় ট্রান্সমিশন অপশনও পাওয়া যায়। মাইলেজও সন্তোষজনক, যা এই গাড়িটিকে বাজেটের মধ্যে চালানোর জন্য আরও ভালো করে তোলে।

ডিজাইনেও দেখা যায় নতুনত্ব

নতুন ফেসলিফ্ট ভার্সনটি দেখতে বেশ নতুন এবং তারুণ্যপূর্ণ লাগে। এর সামনের দিকে নতুন গ্রিল, এলইডি ডিআরএল এবং নতুন বাম্পার দেওয়া হয়েছে। পিছনের দিকেও টেইল লাইট এবং বুট ডিজাইনে পরিবর্তন করা হয়েছে। ইন্টেরিয়রে ডুয়াল টোন থিম এবং আরও ভালো প্লাস্টিক কোয়ালিটি ব্যবহার করা হয়েছে।

সুরক্ষার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে

Triber-এ ডুয়াল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ, রিয়ার পার্কিং ক্যামেরা, সিট বেল্ট রিমাইন্ডার, ABS এবং EBD-এর মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ফিচার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে দেওয়া হয়েছে। টপ ভ্যারিয়েন্টে সাইড এয়ারব্যাগ এবং রিভার্স ক্যামেরাও পাওয়া যায়।

ছোট শহরগুলোর প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে Triber

কম দাম, বেশি ফিচার এবং আধুনিক ডিজাইনের কারণে Renault Triber বিশেষ করে ছোট শহর এবং শহরতলীতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যারা তাদের পরিবারের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং স্টাইলিশ MPV খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে।

Leave a comment