উত্তর প্রদেশের সম্ভলে দিনেদুপুরে এক মহিলা শিক্ষিকার ওপর স্কুটি আরোহী অ্যাসিড হামলা চালিয়েছে। আক্রান্ত গুরুতর আহত হয়েছেন এবং জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে এবং দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে।
সম্ভল: উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলায় একটি বেসরকারি স্কুলের এক মহিলা শিক্ষিকার ওপর দিনেদুপুরে ভয়াবহ অ্যাসিড হামলা হয়েছে। হামলায় ওই মহিলা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঝলসে গেছেন এবং তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে শনাক্ত করেছে এবং দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
স্কুটি আরোহী মহিলা শিক্ষিকার ওপর হামলা চালিয়েছে
ঘটনাটি নাখাসা থানা এলাকার দেহপা গ্রামের। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মহিলা শিক্ষিকা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই স্কুটি আরোহী এক যুবক মাঝরাস্তায় তার মুখে ও পেটে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে মহিলা রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন এবং পরে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। বর্তমানে অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে এবং পুলিশ তার সন্ধানে রয়েছে। এই হামলা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
মহিলা শিক্ষিকা অ্যাসিড হামলায় বিপর্যস্ত
ওই মহিলা শিক্ষিকা এই বছরের বিয়ে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। জানা গেছে যে প্রায় এক থেকে দেড় মাস পরে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এখন এই ঘটনার কারণে তার মুখ ঝলসে গেছে এবং তিনি মানসিক ও শারীরিক উভয় দিক থেকেই বিপর্যস্ত।
পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, এই ঘটনা তাদের জন্য গভীর আঘাত। মহিলার মানসিক অবস্থাও উদ্বেগজনক, কারণ তিনি তার ভবিষ্যতের সুখের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং হঠাৎ করেই এই বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটল।
পুলিশের পদক্ষেপ এবং অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেপ্তার
সম্ভলের এসপি কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই জানিয়েছেন যে হামলায় ওই মহিলা আহত হয়েছেন এবং অভিযুক্ত যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসপি আরও বলেছেন যে এ ধরনের সহিংস ঘটনা প্রতিরোধের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় থেকে দ্রুত তার আস্তানার সন্ধান পাওয়া যাবে।
ডাক্তারের বক্তব্য
ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে মহিলার শরীরে রাসায়নিকের কারণে গুরুতর দহন হয়েছে এবং তার ত্বকের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে এবং মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এই ঘটনার পর সম্ভল জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। মানুষ প্রশ্ন তুলছে যে দিনেদুপুরে ঘটা এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে অপরাধীদের মধ্যে পুলিশের ভয় কমে গেছে। এখন দেখতে হবে পুলিশ এই মামলায় কত দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয় এবং অভিযুক্ত কবে আইনের আওতায় আসে।