ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য: শান্তিনিকেতন বোলপুর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় স্থান, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। এখানে কী দেখা যাবে: উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স, যেখানে কবি বিভিন্ন সময় বাস করেছেন, সৃজনী শিল্পগ্রাম, যেখানে বাংলার আদর্শ গ্রামজীবন ও হস্তশিল্পের নিদর্শন রয়েছে, বাউল সংগীত ও নৃত্য এবং সোনাঝুরি হাট। কখন এবং কোথায়: কলকাতা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বোলপুর স্টেশন থেকে টোটো ভাড়া করে ভ্রমণ শুরু করা যায়।
উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স – কবির স্মৃতিবিজড়িত ভবন
শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সে মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে: উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ ও উদিচি। শ্যামলীতে অবস্থান করেছিলেন মতাত্মা গান্ধী। প্রতিটি ঘরে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি এবং ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র, যা দর্শককে অতীতের সাথে সংযোগ করায়।
বাউল সংগীত ও আদিবাসী নৃত্য
বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়। সোনাঝুরি হাটে গিয়ে দর্শকরা বাউল তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আদিবাসী নৃত্য উপভোগ করতে পারেন। এটি পর্যটকদের সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।
সৃজনী শিল্পগ্রাম – বাংলার আদর্শ গ্রাম
সৃজনী শিল্পগ্রামে দর্শকরা খড়ের চাল, মাটির বাড়ি, খেত, লাঙল, গরু, কামার, কুমোর ও কুয়ো দেখতে পাবেন। মাটির বাড়ির দেওয়ালে পোড়ামাটির কাজ এবং নকশা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এটি বাংলার প্রাচীন গ্রামীণ জীবন ও শিল্পকে জীবন্ত করে তুলে।
যাতায়াত ও সুবিধা
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন পৌঁছানো সহজ। কলকাতা হাওড়া অথবা শিয়ালদা স্টেশন থেকে বোলপুরের জন্য যে কোনও ট্রেন ধরলে সহজে পৌঁছানো যায়। বোলপুর স্টেশন থেকে টোটো ভাড়া করে পুরো শান্তিনিকেতন ঘুরে আসা সম্ভব।
পুজোর ছুটিতে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স, সৃজনী শিল্পগ্রাম, বাউল সংগীত ও সোনাঝুরি হাটে পর্যটকেরা কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত স্থান এবং বাংলার সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন। কলকাতা থেকে সহজেই বোলপুর স্টেশন পৌঁছে টোটো ভাড়া করে পুরো শান্তিনিকেতন ঘুরে আসা সম্ভব।