নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে কেন্দ্র সরকারের ওপর প্রশ্ন তুলেছেন শঙ্করাচার্য अविমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন নতুন ভবনে ‘সেঙ্গোল’ নিয়ে প্রবেশ করছিলেন, তখন তাতে গরুর মূর্তি খোদাই করা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, যখন প্রতীকেরূপে গরুকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, তখন একটি জীবন্ত গরুকে সংসদ ভবনে স্থান দেওয়া হল না কেন? শঙ্করাচার্য এটিকে ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।
তাঁর বক্তব্য ছিল, সংসদের মতো পবিত্র স্থানে প্রবেশের আগে একটি জীবন্ত গরুর আশীর্বাদ নেওয়া আমাদের সংস্কৃতিতে শুভ এবং প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, তবে তিনি সারা দেশ থেকে গরু সংগ্রহ করে সংসদ ভবনে আনতে প্রস্তুত।
গোরক্ষা নিয়ে নতুন দাবি
শঙ্করাচার্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে গরুকে নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে ‘গৌ সম্মান’-এর জন্য একটি সুস্পষ্ট প্রোটোকল তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন, যেখানে এটি নির্ধারিত হবে যে গরুর सार्वजनिक জীবনে সম্মান কীভাবে হবে, কে তার পালন করবে এবং লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কী শাস্তি হবে। তাঁর বিশ্বাস, একটি সুস্পষ্ট নিয়ম থাকলে মানুষ গরুর মর্যাদা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান করতে পারবে।
এছাড়াও, তিনি দেশের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে “রামধাম” স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন, যেখানে কমপক্ষে 100টি গরুর জন্য গোশালা থাকবে। শঙ্করাচার্যের মতে, এতে শুধু গোরক্ষাই জোরদার হবে না, বরং ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে। ধর্ম সংসদে পাশ হওয়া সেই প্রস্তাবকেও তিনি সমর্থন করেছেন, যেখানে হোশঙ্গাবাদের সাংসদ দর্শন সিং চৌধুরী গরুকে রাষ্ট্রমাতা ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন।
ভাষা বিতর্ক এবং মালেগাঁও বিস্ফোরণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া
শঙ্করাচার্য ভাষা বিতর্ক নিয়েও তাঁর মতামত রেখেছেন। তিনি বলেছেন, হিন্দি প্রথম প্রশাসনিক ব্যবহারের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিল, যেখানে মারাঠি ভাষী রাজ্য গঠিত হয়েছিল 1960 সালে। তাঁর বিশ্বাস, হিন্দি এবং মারাঠি উভয় ভাষাই বিভিন্ন উপভাষা থেকে বিকশিত হয়েছে এবং কোনও ভাষার ভিত্তিতে সহিংসতা করা বা বৈষম্য ছড়ানো সম্পূর্ণরূপে অপরাধমূলক।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা নিয়ে তিনি নিরপেক্ষ বিচারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, তারা যে কোনও ধর্ম বা মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন।