১১ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে সোনার দামে সামান্য পতন দেখা গেছে, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই সপ্তাহে সোনার দাম আবার বাড়তে পারে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির ডেটা, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির কেনাকাটার কারণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সোনার দিকে বাড়বে। তাই এই সপ্তাহ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
Gold Price: ১১ই আগস্ট, সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমে শুরু হয়েছে। COMEX-এ সোনার দাম ১.৪২ শতাংশ কমে ৩৪৪১.৩০ ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে, অন্যদিকে রূপার দামও ০.৮৪ শতাংশ কমে ৩৮.২২ ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে। এই দাম কমার প্রধান কারণ হিসেবে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস এবং নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা হ্রাসকে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতির নতুন ডেটা আসার পরে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে। এই কারণে বিনিয়োগকারীদের নজর এই সপ্তাহে প্রকাশিত অর্থনৈতিক ডেটার দিকে থাকবে।
সোনার দামে সম্ভাব্য বৃদ্ধি
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, বাণিজ্য শুল্ক বিতর্ক এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সোনা কেনার কারণে এই সপ্তাহে সোনার দাম আবার বাড়তে পারে। আমেরিকা, ইউকে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতি (CPI) ডেটার দিকে বিনিয়োগকারীরা বিশেষভাবে নজর রাখছেন। এঞ্জেল ওয়ান-এর রিসার্চ প্রধান প্রথমেশ মালিয়ার মতে, সোনার দামে तेजी বজায় থাকবে এবং ফিউচার বাজারে নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোনার দামে আগের দিনের বৃদ্ধি
২৮শে জুলাই সোনার দাম প্রায় ৯৮,০৭৯ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম ছিল, যা এখন বেড়ে ১,০২,২৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ৩০শে জুলাই সোনার দাম ৩,২৬৮ ডলার প্রতি আউন্স ছিল, যা ৮ই আগস্ট বেড়ে ৩,৫৩৪.১০ ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে। এই বৃদ্ধির প্রভাব দেশীয় বাজারেও পড়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনা একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে MCX-এ সোনার দামে বৃদ্ধি
মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX)-এ গত সপ্তাহে অক্টোবরের ফিউচার চুক্তিতে সোনার দাম ১,৭৬৩ টাকা বেড়েছে, যা প্রায় ১.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি দেখায়। এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক সংকেত এবং আগামী দিনেও সোনার বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে।
আজ সোনার দামে পতন হলেও, বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে আগামী দিনে অর্থনৈতিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে আমেরিকার কোর পিপিআই এবং সিপিআই-এর মতো ডেটা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে সোনার চাহিদা বাড়বে। এছাড়াও, বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং বাণিজ্য বিতর্কের কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনাকে নিরাপদ বিকল্প হিসেবে মনে করছেন।