পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সর্বশেষ আপডেট: 10 ঘণ্টা আগে

বলিয়ার পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিজেএম আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ১৫ বছর আগের ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের একটি মামলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার পরবর্তী শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

বলিয়া: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি খবর সামনে এসেছে। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এবং পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে বলিয়ার সিজেএম আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই পরোয়ানাটি ২০১৫ সালের একটি পুরনো মামলার সঙ্গে যুক্ত, যেখানে সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

আদালত নগর कोतवाली পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যে সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আদালতে হাজির করা হোক। এই ঘটনাপ্রবাহ কেবল স্থানীয় রাজনীতিতেই নয়, বরং সারা রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।

২০১৫ সালের টেন্ডার বিতর্ক সম্পর্কিত মামলা

সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে বলিয়া পৌরসভার টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় লোকজন টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন এবং বাজার বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে জেলা প্রশাসন দ্রুত ১৪৪ ধারা জারি করে, যাতে জনসমাগম ও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

তা সত্ত্বেও, বিক্ষোভকারীরা নির্দেশ উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে আসে। ৯ সেপ্টেম্বর নগর कोतवाली থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৭ জন মনোনীত এবং প্রায় ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল যে এই ব্যক্তিরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে আইন-শৃঙ্খলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

সিজেএম আদালত ১৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

এই মামলার শুনানি বহু বছর ধরে চলছিল। প্রসিকিউশন পক্ষ জানিয়েছে যে দুই অভিযুক্ত ২০১৬ সালেই জামিন পেয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মন্ত্রী দয়शंकर সিং সহ ১৫ জন ধারাবাহিকভাবে আদালতের তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন। একাধিকবার নোটিশ ও সমন জারি করা হলেও কেউ আদালতের আদেশকে গুরুত্ব দেয়নি।

সোমবারের শুনানিতে সিজেএম শৈলেষ কুমার পান্ডের আদালত সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত পুলিশকে বলেছে যে সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করতে হবে, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আদেশ স্পষ্ট করে দেয় যে আদালত এই মামলাটিকে আর এড়িয়ে যাওয়ার মেজাজে নেই।

বিপক্ষ ক্ষমতাসীন দলের উপর নিশানা

পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পরিবহন মন্ত্রী দয়शंकर সিং সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি এই পুরনো মামলা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তিনি বলেন যে তিনি আইনকে সম্মান করেন এবং শীঘ্রই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মেনে চলবেন। তাঁর এই বক্তব্যের পর ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা মন্ত্রীর সমর্থনে বলেন যে এটি একটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্থাপিত বিষয়।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেছে যে মন্ত্রী যখন আদালতের আদেশ অমান্য করেন, তখন আইন-শৃঙ্খলার কথা বলা সরকারের দ্বৈত নীতিকেই প্রকাশ করে। কংগ্রেস ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতারা এই বিষয়টিকে জনগণের সামনে "বিজেপি-র ব্যর্থতা" হিসেবে উপস্থাপন করতে শুরু করেছেন।

মন্ত্রী দয়शंकर সিং-এর উপর আইনি খড়গ

দয়शंकर সিং বলিয়া জেলার প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত এবং পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এমতাবস্থায়, তাঁর উপর আইনি খড়গ নামা বিজেপির ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী পক্ষ এই ইস্যুটি একটি বড় নির্বাচনী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

এখন সকলের নজর ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে হতে চলা শুনানির উপর। যদি মন্ত্রী সহ অন্যান্য অভিযুক্ত আদালতে হাজির না হন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পুলিশ প্রশাসনের জন্যও এটি একটি চ্যালেঞ্জ যে একজন মন্ত্রী-পর্যায়ের অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে আদালতে হাজির করতে হবে।

Leave a comment