ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন উদ্যোগ: ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন উদ্যোগ: ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা আরও জোরদার। জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতাদের সাথে দেখা করবেন। ন্যাটো ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে। বৈঠক থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং শান্তি চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

Russia-Ukraine War: রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা আরও দ্রুত হয়েছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ হোয়াইট হাউসে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করবেন। এই বৈঠকে ইউরোপীয় এবং ন্যাটো দেশগুলির নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। এর উদ্দেশ্য হল যুদ্ধ বন্ধ করা এবং ইউক্রেনকে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়া।

যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টা জোরদার

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্রমাগত চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এখন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের বিশেষত্ব হল এইবার ইউরোপীয় দেশ এবং ন্যাটোর শীর্ষ নেতারাও জেলেনস্কির সাথে উপস্থিত থাকবেন।

ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ঐক্য

ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই নেতাদের ধারণা, ইউক্রেনকে যদি শক্তিশালী সমর্থন না দেওয়া হয়, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এই কারণেই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের দিকে সবার চোখ রয়েছে।

আগের সাক্ষাত থেকে শিক্ষা

ফেব্রুয়ারিতে যখন জেলেনস্কি এবং ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মিলিত হয়েছিলেন, তখন দুই নেতার মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। এইবার ইউরোপীয় নেতারা এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে চান। ফ্রান্সের প্রাক্তন সামরিক জেনারেল ডমিনিক ট্রিনকোয়াডও বলেছেন যে ইউরোপ চায় না আগের মতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি আবার তৈরি হোক। এই কারণেই ইউরোপীয় দেশগুলো জেলেনস্কিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছে।

পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের পর আশা বেড়েছে

সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি সাক্ষাৎ হয়। এই সময় প্রথমবারের মতো রাশিয়া এই সম্ভাবনার সাথে একমত হয়েছে যে ইউক্রেনকে ন্যাটোর মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়া যেতে পারে। আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এটিকে "গেম চেঞ্জার" হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই বিবৃতি থেকে আশা জেগেছে যে সম্ভবত এবার শান্তি চুক্তির পথ সহজ হতে পারে।

ফ্রান্সের স্পষ্ট অবস্থান

ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদল ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনাকে সমর্থন করার কথা বলবে। ইউক্রেন ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বাইরে ইউরোপের বৃহত্তম সেনাবাহিনী। ইউরোপ চায় যে তাদের আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দেওয়া হোক যাতে যুদ্ধ বন্ধের সাথে শান্তি নিশ্চিত করা যায়।

ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সমর্থন

ন্যাটোর সমর্থন ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সাহায্য চেয়ে আসছে। এখন যখন ন্যাটো দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছে, তখন এটি রাশিয়ার জন্যও একটি কড়া বার্তা। এর মানে হল, ভবিষ্যতের যেকোনো আলোচনায় ইউক্রেন একা থাকবে না।

Leave a comment