হাইতিতে শান্তি ফেরাতে ৫,৫৫০ জন সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব জাতিসংঘের

হাইতিতে শান্তি ফেরাতে ৫,৫৫০ জন সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব জাতিসংঘের

হাইতিতে ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং গ্যাংগুলির সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামা জাতিসংঘ সুরক্ষা পরিষদকে ৫,৫৫০ জন সৈন্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। এই বাহিনী হাইতির পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সাথে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।

বিশ্ব সংবাদ: হাইতিতে হিংসা এবং অপরাধ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে অপরাধী গ্যাংগুলির আধিপত্য এতটাই বেড়ে গেছে যে তারা এখন ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে সাধারণ মানুষের বাইরে বের হওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

রাষ্ট্রপতির হত্যার পর পরিস্থিতির অবনতি

২০২১ সালে রাষ্ট্রপতি জোভানেল মইসের হত্যার পর থেকে হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। ক্ষমতার শূন্যতা অপরাধী গ্যাংগুলির জন্য সুবিধাজনক প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে, লুটপাট, অপহরণ, যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে।

বর্তমান বাহিনী কেন অপ্রতুল

জাতিসংঘের সহায়তায়, হাইতিতে বর্তমানে কেনিয়া নেতৃত্বাধীন একটি বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিকল্পনা ছিল ২,৫০০ জন সৈন্য সেখানে মোতায়েন করা হবে, কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমানে তাদের সংখ্যা ১,০০০ জনেরও কম। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগেই স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে বর্তমান বাহিনী গ্যাংগুলির শক্তির তুলনায় যথেষ্ট দুর্বল।

আমেরিকা ও পানামার প্রস্তাব

এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামা জাতিসংঘ সুরক্ষা পরিষদে একটি বিশেষ প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে হাইতির জন্য ৫,৫৫০ জন সশস্ত্র সৈন্য এবং ৫০ জন বেসামরিক বিশেষজ্ঞ মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। এই বিশেষজ্ঞদের বেতন সদস্য দেশগুলির স্বেচ্ছাসেবী অনুদান থেকে দেওয়া হবে।

নতুন বাহিনী ১২ মাসের জন্য মোতায়েন থাকবে

প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে এই বাহিনী আগামী ১২ মাসের জন্য হাইতিতে মোতায়েন থাকবে এবং স্থানীয় সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে। এই নতুন বাহিনীকে "গ্যাং দমন বাহিনী" নামেও অভিহিত করা হয়েছে।

নতুন বাহিনীর কাজ কী হবে

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামার মতে, নতুন বাহিনীর দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই বাহিনী গ্যাংগুলির বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালাবে।

  • বিমানবন্দর, বন্দর, স্কুল এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
  • হাইতির পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ অপারেশন পরিচালনা করবে।
  • অস্ত্রের চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ করবে।
  • অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং হেফাজতে নেবে।

Leave a comment