পটনায় বিপিএসসি পরীক্ষায় হৈচৈ, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ দেরি, জেলা প্রশাসকের থাপ্পড়

পটনায় বিপিএসসি পরীক্ষায় হৈচৈ, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ দেরি, জেলা প্রশাসকের থাপ্পড়
সর্বশেষ আপডেট: 10-01-2025

পটনায় বিপিএসসি পরীক্ষায় হৈচৈ, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ দেরি, জেলা প্রশাসকের থাপ্পড়

বিহার সংবাদ: পটনায় বিপিএসসির ৭০তম পরীক্ষায় জমজমাট হৈচৈ। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে অনেক ভিডিও, যেখানে পটনার জেলাधिकारी ডাঃ চন্দ্রশেখর সিংহ এক পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারতে দেখা যাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, আগমকুয়া থানা এলাকার কুমরারের বাপু পরীক্ষা কেন্দ্রে বিপিএসসির প্রাথমিক প্রতিযোগিতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ১২ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শীট পাওয়ায় দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বয়কট করে।

কেন্দ্রে জটিল পরিস্থিতি

হৈচৈ করা পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শীট ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করে এবং তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রে অবস্থা জটিল হয়ে ওঠে। মূল সড়ক, কুমরার-কংকড়বাগ রোডও জ্যামে আটকে পড়ে, যার ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ ও রেফ জওয়ানরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে কয়েকটি কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছেন এমন পরীক্ষার্থীদের বেরিয়ে আসতে দেওয়া হয়নি।

পুলিশ ও রেফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামলায়

প্রশ্নপত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পরীক্ষার্থীরা জোরালো প্রতিবাদ করেন। বিপিএসসি পিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পনেরো থেকে বিশ মিনিট পরেই হৈচৈ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে, পরীক্ষার সময় শেষ হলে দুটি গেট খুলে পরীক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। এ সময় পুরো পরীক্ষা কেন্দ্রকে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। নির্ধারিত সময় ১১টা পর্যন্ত সকল পরীক্ষার্থীকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।

পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন পরীক্ষা নীরিক্ষকের মৃত্যু

বিপিএসসি পিটি পরীক্ষার সময় একজন পরীক্ষা নীরিক্ষকের অসুস্থ হন। তাঁকে দ্রুত পাশের একটা ব্যক্তিগত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতক পরীক্ষা নীরিক্ষকের পরিচয় জানা গিয়েছে, তিনি গোদানী কলেজ অরবলের ৫৮ বছর বয়সী ডাঃ রাম ইকবাল সিংহ। থানারহার সন্তোষ কুমার সিংহ জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পিতার মরদেহের খোঁজে ভ্রমণরত পুত্র

মৃতক পরীক্ষা নীরিক্ষকের পুত্র সন্নি কুমার জানিয়েছেন, তিনি একটা ব্যক্তিগত ব্যাংকে কর্মরত। করিপ্ত থানার এসএইচও তাঁকে খবর দেন যে, বিপিএসসি পরীক্ষার সময় তাঁর বাবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। হৈচৈর খবর পেয়ে আসা ডিএস এবং এসএসপি পুত্রকে সর্বাত্মক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সন্নি কুমার নালন্দা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিতার মরদেহের খোঁজে ছুটে বেড়িয়েছেন, কিন্তু তাঁকে কোথাও তাঁর বাবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তিনি জানিয়েছেন যে পুলিশ এবং প্রশাসন তাঁর কোন সাহায্য করেনি।

``` **(Continue with the remaining paragraphs, splitting the content into smaller sections as needed, if the token count exceeds 8192 tokens. Each section should start with a summary/title of the part.)**

Leave a comment