উত্তর প্রদেশে ছাংগুর চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: অবৈধ ধর্মান্তরকরণ ও ভূমি কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

উত্তর প্রদেশে ছাংগুর চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: অবৈধ ধর্মান্তরকরণ ও ভূমি কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

উত্তর প্রদেশে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ এবং ভূমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছাংগুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ পর্যন্ত তদন্তে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বড় তথ্যটি হল ছাংগুর বিদেশি তহবিল ব্যবহার করে প্রদেশের অনেক জেলায় জমি কিনেছিল এবং পরে অবৈধভাবে প্লট তৈরি করে সেগুলি বেশি দামে বিক্রি করেছিল। এই পুরো নেটওয়ার্কে বিপুল সংখ্যক লোকের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, যার পরে এখন ৩51টি উপনিবন্ধক অফিসকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

বলরামপুর জেলার উতরাউলা শহরে ছাংগুর কর্তৃক প্লটিংয়ের উপর প্রশাসন বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। মহকুমা প্রশাসনের তদন্তে জানা গেছে যে জমিকে বসতি এলাকা ঘোষণা না করেই প্লট তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছিল। ছাংগুরের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নবীন এবং মাহবুবও এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ছিল। তারা শুধুমাত্র চুক্তির ভিত্তিতে জমির ছোট ছোট অংশ বিক্রি করছিল এবং এর মাধ্যমে মোটা মুনাফা লাভ করছিল।

এটিএস এবং ইডির যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্য

এটিএস এবং ইডির যৌথ তদন্তে আরও প্রকাশ হয়েছে যে ছাংগুর দেবীপাটন মণ্ডলকে তার নেটওয়ার্কের কেন্দ্র বানিয়েছিল, যেখান থেকে ধর্মান্তরকরণ এবং অবৈধ জমি ব্যবসা উভয়ই পরিচালিত হচ্ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কে ছাংগুর একা নয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলি ছাংগুর সহ তার 13 জন সহযোগীর তালিকা সমস্ত রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠিয়েছে এবং তাদের নামে হওয়া জমি কেনাবেচার পুরো বিবরণ চেয়েছে।

যাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে তাদের মধ্যে মাহবুব, নিতু ওরফে নাসরিন, সাবিহা, নবীন, মোহাম্মদ সবরোজ, রশিদ, রমজান (গোন্ডা), ইদুল ইসলাম (নাগপুর), রাজেশ उपाध्याय, সঙ্গীতা দেবী उपाध्याय এবং বাবু ওরফে ওয়ালিউদ্দিনের মতো নাম রয়েছে। এই সকলের নাম অনেক সন্দেহজনক চুক্তিতে সামনে এসেছে, এবং এদের মাধ্যমে অবৈধ তহবিল এবং ধর্মান্তরকরণ সম্পর্কিত কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অবৈধ প্লটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা

প্রশাসন উতরাউলা অঞ্চলে চলমান অবৈধ প্লটিংয়ের উপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি এই জমিগুলির তদন্ত ও জরিপের কাজও শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনিক দলগুলির প্রধান লক্ষ্য সেই সম্পত্তিগুলির উপর, যেগুলো ছাংগুর, নবীন এবং নিতু ওরফে নাসরিনের সাথে জড়িত।

মহকুমা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যৌথভাবে নথিপত্রের গভীর তদন্তে নিযুক্ত রয়েছে। কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এই পদক্ষেপের ফলে শুধুমাত্র অবৈধ প্লটিং বন্ধ করা যাবে না, বরং ধর্মান্তরকরণের জন্য হওয়া সন্দেহজনক তহবিল এবং জমি ব্যবসার বড় চক্রের পর্দাফাঁসও করা সম্ভব হবে।

Leave a comment