উত্তর প্রদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট: প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী

উত্তর প্রদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট: প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী

উত্তর প্রদেশে আজকাল লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী গিরিশ চন্দ্র যাদব বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার মউ সফরে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই, বরং কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, যা দ্রুত মেরামত করা হবে।

প্রযুক্তিগত ত্রুটি দায়ী

কালেক্টরেট চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী গিরিশ চন্দ্র যাদব জানান, রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ উপলব্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, কিছু এলাকায় স্থানীয় স্তরে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে, যার ফলে সরবরাহে বাধা আসছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন দ্রুত এই ত্রুটিগুলি দূর করে এবং সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করে।

তিনি মউ জেলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। মন্ত্রী দাবি করেন, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কিছু জেলা—যেমন মইনপুরী, এটাওয়া, ফিরোজাবাদ, বুদাউন এবং রামপুর—কে ভিআইপি শ্রেণিতে রেখে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেওয়া হতো, যেখানে মউ-এর মতো জেলাগুলি অবহেলিত থাকত। কিন্তু এখন রাজ্যে সব অঞ্চলের সঙ্গে সমান ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে আধিকারিক জনগণের অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেন না, তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সপা নেতাদের উপর তীব্র আক্রমণ

আলোচনার সময় মন্ত্রী গিরিশ চন্দ্র যাদব সমাজবাদী পার্টি এবং তার নেতাদেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর অখিলেশ যাদব এবং শিবপাল যাদব হতাশ হয়ে আবোলতাবোল বকছেন। তিনি অভিযোগ করেন, অখিলেশ যাদব জনগণের রায় থেকে নয়, বরং উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা পেয়েছিলেন এবং এখন জনগণ তাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইভিএম নিয়ে সপা-র পক্ষ থেকে তোলা প্রশ্নগুলির উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে যখন লোকসভা নির্বাচন হয়, তখন অখিলেশ নিজেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে যদি ইভিএমে কোনো গোলযোগ হয়ে থাকে, তবে তিনি সেই সময় কেন আওয়াজ তোলেননি?

মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সরকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা सुधारের চেষ্টায় রয়েছে, তবে একই সঙ্গে বিরোধীদের ঘিরতে কোনো সুযোগ ছাড়ছে না।

Leave a comment