উত্তরাখণ্ডে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, দ্রুত নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ

উত্তরাখণ্ডে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, দ্রুত নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ
সর্বশেষ আপডেট: 2 দিন আগে

উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রাজ্যের ১২টি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এখন তিন দিন দেরিতে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করবে।

উত্তরাখণ্ড নির্বাচন: উত্তরাখণ্ডের ১২টি জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে চলা অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার নৈনিতাল হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত এই জেলাগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকার বড় স্বস্তি পেয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে এখন নির্বাচনের সময়সূচী সংশোধন করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের রায়

প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জি নরেন্দ্র এবং বিচারপতি আলোক মেহরার বেঞ্চ আবেদনগুলির শুনানি করে এই আদেশ দেন। আবেদনগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। শুনানির সময় আদালত মনে করে যে, বর্তমানে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা উচিত নয়। একই সাথে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচীতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নতুন তারিখ ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবেদনগুলিতে প্রধান বিষয়গুলি কী ছিল

বাগেশ্বরের গণেশ কান্ডপাল এবং অন্যান্য আবেদনকারীরা সরকারের তরফে ৯ জুন এবং ১১ জুন তারিখে জারি করা বিধি এবং সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল যে, সরকার পূর্বে চালু থাকা সংরক্ষণের তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরি করেছে, যা আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশ এবং সংবিধানের ২৩৪৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

আবেদনগুলিতে আরও বলা হয়েছিল যে, কিছু পঞ্চায়েত আসনে বছরের পর বছর ধরে একই শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ চলছে, যার ফলে অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের সুযোগ হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, ডোইওয়ালা ব্লকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে ৬৩ শতাংশ গ্রাম প্রধানের আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর আর স্থগিতাদেশ নয়

আদালত শুনানির পর নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিন দিনের মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণা করে সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের বক্তব্য হল যে, তারা জুলাই মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়।

ব্লক প্রধান এবং জেলা পঞ্চায়েত সভাপতির পদের সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন

শুনানির সময় আদালত আরও প্রশ্ন তোলে যে, যখন ব্লক প্রধান এবং জেলা পঞ্চায়েত সভাপতির নির্বাচন একই পদ্ধতিতে হয়, তাহলে জেলা পঞ্চায়েত সভাপতির পদে সংরক্ষণ কেন করা হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রতিক্রিয়া

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএন বাবলকার বলেছেন যে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচনের সময়সূচীতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করবে। সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদনগুলির জবাব দাখিল করবে। একই সঙ্গে আদালত এটাও স্পষ্ট করেছে যে, আবেদনগুলির শুনানির সময় যদি কোনও প্রার্থী জয়ী হন, তবে তাঁর বক্তব্যও শোনা হবে।

পঞ্চায়েতি রাজ সচিব বললেন- শীঘ্রই নতুন সময়সূচী প্রকাশ করা হবে

পঞ্চায়েতি রাজ সচিব চন্দ্রেশ যাদব আদালত চত্বরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় জানান যে, যেহেতু আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে, তাই নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই সংশোধিত নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ করবে। তিনি বলেন যে, সরকারের চেষ্টা হল জুলাই মাসে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।

Leave a comment