ধনখড়ের ইস্তফার পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইস্তফার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শীঘ্রই নির্বাচনী মণ্ডলী এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
New Vice president: ভারতে উপরাষ্ট্রপতির পদ সাংবিধানিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পর এই পদটি শূন্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এইবার যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্য কার্যভার গ্রহণ করবেন, তাঁর পূর্বসূরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ইস্তফা দিলেও।
উপরাষ্ট্রপতির ইস্তফার পর কী হল
জগদীপ ধনখড় স্বাস্থ্য বিষয়ক কারণ দেখিয়ে তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সংসদের বাদল অধিবেশনের সভাপতিত্ব করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি এই পদক্ষেপ নেন। যেহেতু উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও হন, তাই বর্তমানে তাঁর দায়িত্ব উপ-চেয়ারম্যান হরিবংশ পালন করছেন।
ধনখড়ের ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন, এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তা যথাযথভাবে গ্রহণ করেছে। এরপর নির্বাচন কমিশনকে এর আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া শুরু করেছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি শুরু
নির্বাচন কমিশন তাদের ২৩শে জুলাইয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে ইস্তফার আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এই প্রস্তুতিতে প্রধানত দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
- নির্বাচকমণ্ডলী গঠন – এতে লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন।
- রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ – যিনি নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবেন।
এখনও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, তবে কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে যে সমস্ত পূর্ব-ঘোষণা কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া কেমন হবে
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, যদি উপরাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়, তবে দ্রুত নির্বাচন করানো উচিত। যদিও ধনখড় তাঁর পাঁচ বছরের কার্যকাল পূর্ণ করেননি, তবে তাঁর উত্তরসূরি পুরো পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভা ও রাজ্যসভার সকল সদস্য ভোট দেন। এতে কোনও সাধারণ ভোটার অংশগ্রহণ করেন না। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গোপন ব্যালট এবং একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে কে দায়িত্ব পালন করছেন
উপরাষ্ট্রপতির পদ খালি থাকার কারণে রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের ভূমিকা বর্তমানে উপ-চেয়ারম্যান হরিবংশ পালন করছেন। তিনি অধিবেশন পরিচালনা করছেন এবং সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এখন নির্বাচন কমিশনের ওপর দায়িত্ব হল দ্রুত নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করা। একবার তারিখ স্থির হয়ে গেলে মনোনয়ন, ভোটদান এবং গণনার প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এই নির্বাচন সংসদের উভয় কক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হবে।