ভারতের পঞ্চদশ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এনডিএ-র তরফে ওম মাথুর, ঘনশ্যাম তিওয়ারি এবং থাওয়ারচাঁদ গেহলটের নাম প্রধান contender। বিরোধী দলও একজন সাধারণ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন শীঘ্রই তারিখ ঘোষণা করবে, যা রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
Rajasthan: ভারতের পঞ্চদশ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন निर्णायक পর্যায়ে। জগদীপ ধনখড় তার পদ থেকে পদত্যাগ করার পরে এই সাংবিধানিক পদটি খালি হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আসন্ন নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এনডিএ জোটও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে গভীর আলোচনা শুরু করেছে, যেখানে রাজস্থানের দুই প্রধান নেতা — ওম মাথুর এবং ঘনশ্যাম তিওয়ারি —এর নাম সবচেয়ে এগিয়ে চলছে।
উপরাষ্ট্রপতি পদের গুরুত্ব
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি কেবল রাজ্যসভার সভাপতি নন, তিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও সামলান। এমন পরিস্থিতিতে এই পদের জন্য একজন অভিজ্ঞ, ভারসাম্যপূর্ণ এবং আদর্শিকভাবে শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন। এনডিএ-র চেষ্টা হল আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং রাজ্যগুলিতে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনকে ધ્યાનમાં রেখে এমন একটি মুখ নির্বাচন করা যা রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
রাজস্থান থেকে কেন এই নামগুলো উঠে এসেছে?
বিজেপির কাছে রাজস্থান সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, এবং এখানকার রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিবেশী রাজ্যগুলি – গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এইবার দুটি নাম আলোচনায় আছে:
১. ওম মাথুর
বর্তমানে সিকিমের রাজ্যপাল। রাজস্থান বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয় এবং জাতীয় স্তরে দলের रणनीतिकार হিসাবে কাজ করেছেন।
২. ঘনশ্যাম তিওয়ারি
বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ এবং একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে তার পুরো পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ইঙ্গিতবহ বলে মনে করা হচ্ছে। তিওয়ারির দীর্ঘ প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এবং আদর্শে স্পষ্টতা তাকে শক্তিশালী প্রার্থী করে তুলেছে। উভয় নেতাই সংঘের পটভূমি থেকে এসেছেন, যা তাদের আদর্শগতভাবে এনডিএ-র অগ্রাধিকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে তোলে।
বিরোধী দলের কৌশল কী?
যদিও এনডিএ-র লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তবুও বিরোধী দলও প্রার্থী দেওয়ার মুডে রয়েছে। গতবারের মতো এবারও কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির মধ্যে একটি সাধারণ প্রার্থী আনার চেষ্টা চলছে। পূর্বের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকে বিরোধী দল তাদের প্রার্থী করেছিল, যেখানে উপরাষ্ট্রপতি পদের আগের নির্বাচনে মার্গারেট আলভা এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এইবারও কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দল কোনও বিশিষ্ট মুখকে সামনে আনতে পারে যাতে বিজেপি একতরফা জয়ের পরিস্থিতিতে না পৌঁছতে পারে।
থাওয়ারচাঁদ গেহলটও দৌড়ে
রাজস্থান ছাড়াও, মধ্যপ্রদেশের वरिष्ठ नेता এবং কর্ণাটকের বর্তমান রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে। তিনি दलित সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং সামাজিক ন্যায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। উজ্জয়িনের বাসিন্দা গেহলটের প্রভাব দক্ষিণ রাজস্থানের আদিবাসী অঞ্চলেও রয়েছে বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তার নাম বিজেপির সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে।
বিহার ফ্যাক্টরও বিদ্যমান
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শীঘ্রই আসছে, তাই বিজেপি কোনও বড় বিহার নেতাকে উপরাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব দিতে পারে যাতে সেখানকার জাতিগত ও রাজনৈতিক সমীকরণকে প্রভাবিত করা যায়। কিন্তু রাজস্থান থেকে আসা এই দুটি নাম সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
নির্বাচন কমিশন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, ভোট প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চূড়ান্ত করতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। তার পরপরই এনডিএ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে।