৭৬৭ জন সাংসদের ভোটে জয়লাভ করেছেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন। ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি ৩০০ ভোটে থেমে গিয়েছেন। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে—১৫টি ভোট কোথায় গেল? সেই প্রশ্নকেই হাতিয়ার করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ কেনাবেচার।
ক্রস ভোটিং নিয়ে সরব তৃণমূল
অভিষেকের অভিযোগ, ইন্ডিয়া জোটের কিছু দল থেকে সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন করেছেন কয়েকজন সাংসদ। বিশেষ করে আম আদমি পার্টির একাধিক সাংসদের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি একজন মহিলা সাংসদ প্রকাশ্যে কেজরিওয়ালের বিরোধিতা করেছেন বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
টাকার খেলা ও ভোট কেনাবেচার অভিযোগ
তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “ওঁরা ভোট কেনার জন্য কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে। এক একজন সাংসদের ভোট কিনতে ১৫–২০ কোটি পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারেন, কিন্তু জনতা বিক্রি হন না।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই টাকার রাজনীতি করছে।
সংখ্যার হিসেব ঘিরে ধোঁয়াশা
কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ইন্ডিয়া জোটের মোট ৩১৫ সাংসদ ভোটে অংশ নেন। অথচ প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৩০০ ভোট। এর সঙ্গে মিলিয়ে ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। ফলে কারা ক্রস ভোট করলেন, কারা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যালট নষ্ট করলেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
SIR নিয়েও বিজেপিকে নিশানা
শুধু নির্বাচনী ফল নয়, আসন্ন SIR নিয়েও বিজেপিকে sktarget করলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “কালই সংসদ ভেঙে দিক, পরশু থেকেই SIR করুক। আমরা প্রস্তুত আছি। বিজেপি আসলে জনমতের ভয় পায়। তারা যা করে, তার পিছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি কোটি কোটি টাকার খেলা চালিয়েছে এবং আম আদমি পার্টির কয়েকজন সাংসদ সরাসরি ক্রস ভোট করেছেন।