আগ্রায় যমুনা বিপদসীমা ছাড়াল, তাজমহলের কাছে জল প্রবেশ

আগ্রায় যমুনা বিপদসীমা ছাড়াল, তাজমহলের কাছে জল প্রবেশ

আগ্রাতে যমুনা নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তাজমহলের পশ্চিম গেট এবং মেহতাব বাগ পর্যন্ত বন্যার জল ঢুকে পড়েছে। মথুরা এবং তার আশেপাশের গ্রামগুলিও বন্যার কবলে পড়েছে।

আগ্রা: উত্তরপ্রদেশের আগ্রাতে যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে, যার ফলে তাজমহলের পশ্চিম প্রবেশদ্বার পর্যন্ত জল পৌঁছে গেছে। মেহতাব বাগের টিকিট কাউন্টারের সিঁড়ি পর্যন্ত জল প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত তাজ ভিউ পয়েন্টে তীব্র স্রোত বইছে, যা পর্যটক এবং স্থানীয়দের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করছে।

স্থানীয় লোকেরা বলছেন যে এই পরিস্থিতি ১৯৭৮ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। সেই সময়ও যমুনায় বন্যা হয়েছিল এবং রাস্তাঘাট এতটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল যে প্রশাসনকে স্টিমার চালাতে হয়েছিল। এবারও জলস্তর বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মেহতাব বাগে বন্যার কারণে আশেপাশের এলাকায় জল জমেছে।

তাজমহলের পিছনে অবস্থিত মেহতাব বাগের বাগান জলে প্লাবিত হয়েছে। বাগান এবং আশেপাশের এলাকায় জলের তীব্র স্রোত উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। টিকিট কাউন্টার এবং আশেপাশের দোকানেও জল ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় দোকানদার সাবির আলী জানিয়েছেন যে তাঁর মনে আছে ১৯৭৮ সালেও যমুনায় বন্যা হয়েছিল, তখন যমুনার সর্বোচ্চ জলস্তর ছিল ১৫৪.৭৬০ মিটার। সেই সময় বেলনগঞ্জ, জীবনীমন্ডি, বিজয় নগর কলোনি, দয়ালবাগ এবং মতিমহলের মতো অনেক এলাকায় জল জমে গিয়েছিল।

মথুরা এবং বৃন্দাবনে বন্যার পরিস্থিতি

মথুরাতেও বন্যার পরিস্থিতি গুরুতর। ৪৫টি গ্রাম সম্পূর্ণ দ্বীপের আকার ধারণ করেছে এবং জয়সিংহপুরা রোডের বেশ কয়েকটি কলোনি জলে ডুবে গেছে। বিশ্রাম ঘাট এবং বৃন্দাবনের গ্রামগুলিও বন্যার কবলে পড়েছে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের प्रभारी জানিয়েছেন যে আগামী দুই দিন ধরে আরও জল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার গোকুল ব্যারাজ থেকে ১.৬০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যদি বৃষ্টি এবং জলের প্রবাহ কম না হয়, তবে পরিস্থিতি ১৯৭৮ সালের মতো গুরুতর হতে পারে।

যমুনার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে প্রশাসনের সতর্কতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যমুনার জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। কছপুরার অশোক সাগর জানিয়েছেন যে ২০১০ এবং ২০২৩ সালেও যমুনায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু এবার জলের স্তর সবচেয়ে বেশি।

প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করেছে যে মানুষকে নদীর তীর এবং বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন এবং নিরাপদ রাস্তা ও আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যমুনার জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a comment