যমুনার তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়া যুবককে ৫ ঘন্টা পর উদ্ধার, স্বস্তি ফিরল এলাকায়

যমুনার তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়া যুবককে ৫ ঘন্টা পর উদ্ধার, স্বস্তি ফিরল এলাকায়

যমুনার তীব্র স্রোতে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ভেসে গিয়েছিল, কিন্তু লোহার সেতুর কাছে গাছের ডাল ধরে ৫ ঘন্টা ধরে নিরাপদে ছিল। এনডিআরএফ এবং স্থানীয় ডুবুরিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। যমুনা অঞ্চলে বন্যায় এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

নতুন দিল্লি: বৃহস্পতিবার দুপুরে যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ভেসে যায়। লোহার সেতুর কাছে পৌঁছানোর সময় যুবকটি নদীতে আধা ডুবে থাকা গাছের ডালপালা ধরতে সক্ষম হয়। সে ডালপালা ধরে গাছে উঠে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে সাহায্যের জন্য আকুতি জানায়। এই সময় বোট ক্লাবের ডুবুরি এবং এনডিআরএফ দলকে খবর দেওয়া হয়। উদ্ধার অভিযান শেষে যুবকটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যুবকের নাম রাজ। জীবন রক্ষাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সঞ্জয় নামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই ঘটনাটি যমুনা অঞ্চলে জলস্তর বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বিপদকে তুলে ধরেছে।

যুবক যমুনা বাজারের কাছে ভেসে যায়

যমুনা বোট ক্লাবের কর্মীদের মতে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যুবকটি যমুনা বাজারের কাছে তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। নদীর তীব্র স্রোতে সে লোহার সেতুর কাছে পৌঁছায় এবং আধা ডুবে থাকা গাছের ডাল ধরে গাছে উঠে যায়।

কয়েক ঘন্টা ধরে যুবকটি গাছে বসে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। আশেপাশে থাকা লোকজন ঘটনার ভিডিও তৈরি করছিল, কিন্তু কারোরই যুবকের দিকে নজর পড়েনি। অবশেষে ভিডিও দেখে পুলিশ এবং এনডিআরএফ দলকে খবর দেওয়া হয় এবং যুবকটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।

এনডিআরএফ এবং যমুনা বোট ক্লাব ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এনডিআরএফ এবং যমুনা বোট ক্লাবের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিশেষ সরঞ্জাম এবং বোটের সাহায্যে যুবকটিকে নদীর তীব্র স্রোত থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ যুবকটিকে থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তারপর হাসপাতালে পাঠায়। এই অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যারা দলের নির্দেশনায় উদ্ধার কার্যকে সফল করেছেন।

মঠ মার্কেট থেকে ৩৫ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে

যমুনা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে অনেক এলাকায় জল জমে গেছে। এনডিআরএফ দল বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে।

পূর্ব দিল্লি জেলার বারাপুলা থেকে ৪ জনকে, উসমানপুর স্থিত তৃতীয় বাঁধ থেকে অনেক মানুষ এবং পশুদের, এবং কেন্দ্রীয় দিল্লিতে ৪ জন বয়স্ক, একটি কুকুর এবং বিড়ালকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঠ মার্কেট থেকে বন্যায় আটকে পড়া ৩৫ জনকেও নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।

স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি

স্থানীয় লোকেরা এখন রাতে বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এনডিআরএফ এবং পুলিশের কাছে ক্রমাগত সতর্ক থাকার এবং নিরাপদ পথ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। লোকেরা বলছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য জলস্তর পর্যবেক্ষণ এবং সময়মত সতর্কতা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা উচিত।

Leave a comment